নদীগর্ভে বিলিনের পথে কলমাকান্দার রিকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

শেখ শামীম, কলমাকান্দা থেকে: নেত্রকোণার কলমাকান্দায় বড়খাপন ইউনিয়নের রিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন হুমকির মুখে পড়েছে। এর মধ্যে বিদ্যালয়ের সামনের যাতায়াতের রাস্তা নদীতে ভেঙে পড়েছে।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আঞ্জুরা খাতুন বলেন বর্ষার সময় নদীতে জোয়ার বেড়ে গেলে বিদ্যালয় চত্বর প্লাবিত হয়। এতে ওই সময় ক্লাস পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পরে।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়,শাখাই নদীর তীরবর্তী উপজেলার নাগারগাতী গ্রামের নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর পানি কমতে থাকায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। শাখাই নদীর তীব্র ভাঙনের স্বীকার হয়ে ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ে সামনের চলাচলের রাস্তা বিলীন হয়ে গেছে। ওই বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে লেখা পড়া করে আসছে। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভাঙনের কবলে পরে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে ওই বিদ্যালয়টি।
বিদ্যালয়টি নদী তীরবর্তী হওয়ার ফলে শিক্ষক/শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে অভিভাবকরা জানান। অবিলম্বে এই ভাঙন প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে সুদৃষ্টি কমনা করেন স্থানীয়রা।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক শ্যামল কান্তি ভৌমিক জানান বিদ্যালয়টি ভাঙনের কবলে পরলেও এ পর্যন্ত ভাঙন ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কোন কার্যকরী উদ্যোগ নেয়নি। জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয়টির গাইড ওয়াল নির্মাণ করা না হলে বিদ্যালয়টি নদীতে বিলিন হয়ে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তি বিশ্বাস বলেন বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ১৯৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়টি ভাঙনের মুখে পড়ায় ঝুকি নিয়ে ছাত্র/ছাত্রীগন লেখা পড়া করছে তবে ওই ঝুকিপূর্ণ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দুঃচিন্তায় মধ্যে থাকেন।
বড়খাপন ইউপি চেয়ারম্যান একেএম হাদিছুজ্জামান হাদিস জানান, ২০১৫ সালে ওই বিদ্যালয়ের সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃক একটি জরুরী বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু গত বছর অকাল বণ্যায় নদীর তীব্র স্রোতে ওই বাঁধটি ভেঙে পড়ে। যার ফলে বিদ্যালয়টি
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম জানান, এ উপজেলায় আমি নতুন যোগদান করেছি। এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। তবে খোজ খবর নিয়ে দেখব এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।