
বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার রাজপাড়া এলাকায় স্ত্রীকে হত্যা ও লাশ গুমের ঘটনায় প্রায় চারমাস পর স্বামী রহমত মিয়া (৩২) ও শাশুড়ী আয়শা খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ি পুলিশ তার বাসার পিছন থেকে বস্তা বন্ধী মরদেহটি উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানায়,স্বামী রহমত মিয়া পূর্বধলা উপজেলা সদরের রাজপাড়া এলাকার নূর হোসেনের ছেলে। স্ত্রী কল্পনা আক্তার (৩০) একই উপজেলার মেঘশিমুল গ্রামের আব্দুর রহিম ও হালিমা আক্তারের মেয়ে।
পূর্বধলা থানার ওসি মো. বিল্লাল উদ্দিন জানান, প্রায় ৬/৭ বছর আগে রহমত মিয়ার সাথে তার কল্পনা আক্তারের (৩০) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কল্পনার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ দরবার ও হয়। এক পর্যায়ে কল্পনা তার বাবার বাড়ি মেঘশিমুল গ্রামে মায়ের কাছে চলে যান। প্রায় ৪ মাস আগে রহমত আলী মিমাংসার মাধ্যমে কল্পনাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এর তিনদিন পর গত ৯/৪/২০১৮ ইং থেকেই কল্পনাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনার সময় রহমত আলী জানায়, ঝগড়া করে তার স্ত্রী ঢাকায় চলে গেছে। এরপর সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বললে স্থানীয়দের সন্দেহ দেখা দেয়।
পরে কল্পনার মা হালিমা আক্তার নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর পূর্বধলা থানায় একটি জিডি করেন। এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে রহমত আলীকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে আটক করে পূর্বধলা থানার পুলিশ। আটকের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের রহমত আলী জানায়, সে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ তার ঘরের পিছনে মাটির নীচে বস্তায় ভরে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছে। এ স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার ওই গৃহ বধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওসি মো. বিল্লাল উদ্দিন জানান, আটকের পর রহমত আলী স্ত্রীকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে। তার স্বীকারোক্তিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় নিহত গৃহবধু কল্পনা আক্তারের মা হালিমা আক্তার বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় গৃহবধুর স্বামী রহমত আলী ও শাশুড়ি আয়েশা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।