নান্দনিকতার ছোঁয়া লেগেছে মোহনগঞ্জের শিয়ালজানি খালে

এস,এম, সারোয়ার খোকন: নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের ঐতিহাসিক শিয়ালজানি খালে নান্দনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। খালকে দৃষ্টিনন্দন করতে ব্যয় হচ্ছে ৪০ কোটি টাকা । ৮ কিঃমিটার দৈর্ঘ্যরে এই খালটি যুগ যুগ ধরে শহরের দুই পাড়ের মানুষজন অবৈধ দখলে রেখে ঘরবাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ভোগ দখল করে আসছিল।
শহরের ময়লা, আবর্জনা, পয়নিস্কাশন ও কচুরিপনায় ভরে যাওয়ায় খালটির করুন অবস্থার রুপ নিয়ে ছিল। বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান খালটির পূর্নাঙ্গ সীমানা নির্ধারণ দুষনমুক্ত ও অবৈধ দখলমুক্ত করে দু’পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মানসহ খালটিকে দৃষ্টি নন্দন করার উদ্যোগ নেন। উল্লেখ্য সারা বছর পৌর নাকরিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় খালটির ভূমিকা ছিল অপরিসীম। শহরের ইতিহাস-ঐতিয্য ও সৌন্দর্য বর্ধনের সঙ্গে শিয়ালজানি খালটি একইসূত্রে গাঁথা। এই খালের ২কিঃমিঃ দৈর্ঘ্য ২ পাড়ে বর্তমানে কাজ চলমান।

একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, খালটি খনন অন্যান্য কাজের জন্য প্রথম দফায় সরকারী বরাদ্ধ পাওয়া যায় ২৫ কোটি টাকা। এখন সেই বরাদ্ধ বেড়ে ৪০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার ধারণা করা হচ্ছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে বলা হয় খালের মাটি খনন, ব্লক , ওয়াকওয়েতে রঙিন টাইলস বসানো ও কংস উৎস মুখে একটি রেগুলেটর নির্মান ও অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৭ কোটি ১২ লাখ ৯২ হাজার টাক বরাদ্ধ ব্যয় ধরা হয়। এ ছাড়াও খালের বিভিন্ন স্থানে ৪টি দৃষ্টি নন্দন ব্রীজ নির্মিত হয়েছে। এগুলির কাজ বাস্তবায়ন করেছে মোহনগঞ্জ পৌরসভা ও স্থানীয় সরকার প্রকেীশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। মোহনগঞ্জ পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান রতন জানান, খালের দু’পাড়ে ডেনের পাশে সড়ক বাতি, বসার বেঞ্চ,ছায়ার জন্য ছাতা, পারাপারের জন্য ২টি ফুট ব্রীজ, আধুনিক ড্রেন, গণশৌচাগার নির্মান করা হবে। ইতিপূর্বে খালের উপর ৪টি ব্রীজ ও ১টি রেগুলেটর নির্মান করা হয়েছে । আরও ১টি ব্রীজ নির্মান করা হবে সেটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক জনপথ বিভাগ।

শুক্রবার বিকালে প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এ সময় ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মাহমুদ হাসান, জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম, পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আক্তারুজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান আকম শফিকুল হক, পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান রতন, ইউএনও মোঃ মেহেদী মাহমুদ আকন্দ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদ ইকবাল খালের নান্দনিকতার কাজ পরিদর্শন করেন। খালের সুন্দর্য্য দৃশ্যমান হওয়ায় পৌবাসীর সকালে বিকালে হাটাহাটি শুরু করছে। সৃষ্টি হয়েছে বাড়ী বাড়ী যাওয়ার হাটার রাস্তা।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।