বাসর রাতেই আসামী ধরলো বেরসিক পুলিশ

ময়মনসিংহ অফিস: বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ভালোভাবেই সম্পন্ন। খাওয়া দাওয়া শেষ। একে একে বিদায় নিলেন স্বজনরা। শশুর বাড়িতেই হবে বাসর। বাসর ঘরে কনেকে বসিয়ে খবর দেয়া হলো জামাইকে। ঘরে প্রবেশ করলো বর, আটকে দেয়া হলো দরজা। নতুন বউয়ের খোজখবর নিচ্ছিলো বর। এমন সময় দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। দরজা খুলুন আমরা পুলিশ। সময় তখন রাত তিনটা। ময়মনসিংহে বাসরঘরের থেকে এভাবেই এক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার মনির হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বুধবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার দত্তের গ্রামের ইসমত আলীর বাড়িতে একটি বাসরঘর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মনির উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বৈরাটি গ্রামের বাসীন্দা আব্দুল গফুর তালুকদারের ছেলে। পুলিশ জানায় বুধবার রাতে উপজেলার দত্তের গ্রামের ইসমত আলীর মেয়ের সাথে মনিরের বিয়ে হয়। আসামির অবস্থানের খবর পেয়ে রাতেই গ্রেপ্তার অভিযানে যায় পুলিশ। পুলিশ জানায়, ২০০৯ সালে ১৩ আগস্টের রাতে ঢাকার গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে আলমগীর হোসেন নামে এক দোকান কর্মচারীকে ছিনতাইকারীরা গলাকেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কদমতলী থানায় মনির হোসেন সহ তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এরপর ২০১৭ সালের ২৭ জুলাইয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটনের বিশেষ দায়রা জজ আদালতের হাকিম বিচারক মনির হোসেনসহ তিনজন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমদ কবির হোসেন জানান, আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থেকেই মনির হোসেন পলাতক ছিলেন। খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরো আগে খবর পেলে বিয়ের আগেই গ্রেফতার করার চেষ্টা করতাম।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।