কলমাকান্দায় ইউএনওর মুঠোফোনে স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ততা আরিফুজ্জামানের হস্তক্ষেপে স্কুল পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর (১৪) বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে ইউএনও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় ও মেয়েটির পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে বিয়েটি বন্ধ করেন।
ইউএনও আরিফুজ্জামান বলেন, ‘মেয়েটির পরিবার গোপনে বিয়ের আয়োজন করেছিল। বাল্যবিবাহের কুফল সমন্ধে তাদের বুঝিয়ে বিয়েটি বন্ধ করা হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেনা বলে রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহেরা খাতুন ও পরিষদের সচিব মো. সাফায়েত হোসেনের সহযোগিতায় মুচলেখা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মেয়েটি যাতে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে তারও ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কলমাকান্দা রংছাতি ইউনিয়নের ওই মেয়েটি একই ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। বুধবার বিকেলে তার বিয়ের কথা ছিল। বর ছিলেন একই উপজেলার খারনৈই ইউনিয়নের রুদ্রনগর গ্রামের এক যুবক (২৫)। খবর পেয়ে সকালে জেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে ইউনিসেফের সিফরডি প্রকল্পের ইউনিয়ন সমন্বয়কারী মো. মামুন মিয়া মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধের অনুরোধ জানান। কিন্তু পরিবারের লোকজন এই বিয়ে বন্ধ করতে চাননি। পরে তিনি বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহেরা খাতুন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুজ্জামানকে জানান। ইউএনও চেয়ারম্যান ও ওই পরিষদের সচিবকে বিয়েটি বন্ধের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মুঠোফোনে মেয়েটির পরিবারের লোকজনদের বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে বিয়েটি বন্ধ করেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।