
বিশেষ প্রতিনিধি: উন্নয়নের কারণে বদলে গেছে নেত্রকোণা মোহনগঞ্জের শিয়ালজানি খাল। মোহনগঞ্জ পৌরশহরের বুক ছিড়ে বয়ে চলা শিয়ালজানি খালটি পরিণত হয়েছিল ময়লার ভাগারে। দেশের চলমান উন্নয়নের অংশ হিসেবে শিয়ালজানি খালকে হাতির ঝিলের আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সাবেক একান্ত সচিব বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নেত্রকোণার কৃতি সন্তান সাজ্জাদুল হাসান এঁর ঐকান্তিক চেষ্টায় ২০১৬ সালে খালটিকে দখল মুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই সাথে খালটির সৌন্দয্যবর্ধনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের কাজটি প্রায় ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের মোট প্রক্কালিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬ কোটি ১৬ লাখ।
নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কংস নদ থেকে উৎপন্ন হয়ে খালটি মোহনগঞ্জের ডিঙ্গাপোতা হাওরে গিয়ে মিশেছে। আশির দশক থেকে খালটি দখল হয়ে রূপ যৌবন হারায়। আর এ কারণে দখলের কবলে পরে। স্থানে স্থানে দখলবাজরা তৎপর হয়ে দখল করে বাসা বাড়ি দোকান পাট নির্মাণ করে।
নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,শহরের গরু হাট্টা থেকে সাপমারা খাল পর্যন্ত খালটি পূণ:খনন,সংরক্ষণ ও ওয়াকওয়ে নিমার্ণ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি ১০ টাকা। কংশ নদের উৎস্য মুখে স্লুইস গেইট নিমার্ণ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ টাকা। মোহনগঞ্জ পৌরসভা পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচটি ব্রীজ নির্মাণ করছে। আর দ’ুপাড়ে ড্রেন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৮ কোটি ৪ লাখ টাকা। ড্রেনের কাজটি দ্রুত শুরু হবে বলে জানিয়েছে নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
২০১৬ সালের দিকে খালটি উদ্ধার করে সৌন্দর্য্য বর্ধনের প্রকল্পে গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নেত্রকোণার কৃতি সন্তান সাজ্জাদুল হাসান।
নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, মোহনগঞ্জের বাজারের গরুহাট্টা থেকে মাইলোড়া এলাকা পর্যন্ত স্থানে গড়ে উঠেছে দৃষ্টি নন্দন ব্রীজ। খালটির দুই পাড়েই স্লাব দিয়ে বাঁধাই করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে টাইলস যুক্ত ওয়াকওয়ে। স্থানে স্থানে তৈরী করে দেয়া হয়েছে ব্রেঞ্চ। তাছাড়া লাইটিং এর ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। ২০১৬ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্য রেবেকা মমিন ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান প্রকল্প কাজের উদ্বোধন করেন।
গত শনিবার বিকেলে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নেত্রকোণার কৃতি সন্তান সাজ্জাদুল হাসান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো: মাহফুজুর রহমান,নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম,পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান, সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলম তরফদার, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ইসমত কিবরিয়া,মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী মাহমুদ আকন্দ, মোহনগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেত্ববৃন্দ।
এসময় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো: মাহফুজুর রহমান,শিয়ালজানি খালের কাজ শেষ হলে জেলার মধ্যে আকর্ষণীয় স্থান হবে এটি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিয়ালজানি খালের মতো নেত্রকোণা শহরের মগড়া নদীকেও দৃষ্টি নন্দন করে সাজানো সম্ভব।