নেত্রকোণায় গৃহকর্মী নির্যাতনকারী সেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা !

বিশেষ প্রতিনিধি: রোকেয়া আক্তার মীম নামের ১১ বছরের শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে নেত্রকোণায় আটক ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ জানায়,শিশু আইনের ৭০ ধারা এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৪ (১) ও ৪ (২) এর খ ধারায় অভিযোগ এনে গৃহকর্মী মীম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছে। নেত্রকোণা শহরের নাগড়া এলাকার বাসিন্দা সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক রাসেল মামুনের স্ত্রী সদর উপজেলার উত্তর বিশিউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা ফারজানা আক্তারকে (৩০)কে মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে। শিশু গৃহকর্মী মীম নেত্রকোণা সদরের চল্লিশা রাজেন্দ্রপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে পুলিশ নির্যাতিত গৃহকর্মীকে উদ্ধারসহ গৃহকর্তীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন খান জানান, বেশকিছু দিন ধরে কাজের মেয়ে মীমকে মারধর করে আসছিলেন বাসার গৃহকর্তী ফারজানা। গত বুধবার রাতে মীমকে বেধরক পিটুনি দেয়। বিষয়টি এলাকাবাসির মাধ্যমে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ওই গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে গৃহকর্তৃকে আটক করা হয়। ওসি আরা জানান, গৃহকর্মী মীমের মাথায়, চোখের পাশে, মুখে, পায়ে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে। উদ্ধারের পর মীমকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আটকের পর থানায় আটক শিক্ষিকা ফারজানা আক্তার বলেন, তিনি মানসিক রোগে ভুগছেন। চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। মানসিক রোগের কারণে মাঝে মাঝে রাগ আসে। এ কারণে রাগ হওয়ায় মীমকে মারধর করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আলমগীর জানান, শুক্রবার শিক্ষিকাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।