শিয়ালজানি খাল আর্মাডকরণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাড়বে পর্যটকদের আনাগোনা

বিশেষ প্রতিনিধি: মোহনগঞ্জে বাস্তবায়িত দৃষ্টিনন্দন শিয়ালজানি খাল আর্মাডকরন প্রকল্পটি বুধবার সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম, ময়মনসিংহের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক কে এম শফিকুল হক ও নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, ডিজাইন সার্কেল-১ আব্দুল বাসেত ও মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শহীদ ইকবাল,স্থানীয় প্রশাসন ও পৌর এলাকার সুবিধাভোগীদের উপস্থিতিতে পরিদর্শন করেন কর্মকর্তা।
নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র জানায়, শিয়ালজানি প্রকল্পটির মোট দৈর্ঘ্য ৪০০০ মি: অর্থাৎ দু’পার্শ্ব মিলে ১৩১২০ ফুট কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রকল্পটির সুন্দর্য বর্ধনমূলক কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড আরো জানায়, শিয়ালজানি খালের প্রত্যেকটি সিসি বালক ট্রাস্কফোর্স কর্তৃক গননাকৃত এবং ব্লকের গুনগত মান নিশ্চিতের জন্য বুয়েট কর্তৃক টেষ্ট করা হয়েছে। জিও ফিল্টার বুয়েট কর্তৃক টেষ্ট করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রকল্পের ৩৯ ফুট যা মোট দৈর্ঘের ০.২৯%.অংশ ধ্বসে গেছে।
ধ্বসে যাওয়ার কারণ হিসেবে কর্মকর্তারা জানান,শিয়ালজানি খালটি সত্তর দশকের পর থেকে জবরদখল করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা পাকাদালান সহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছিল। অর্ধশত বছরের পুরোনো মোহনগন্জ পৌর এলাকার সিওয়েজ লাইন দিয়ে খালটাকে ডাষ্টবিনে পরিণত করায় খালের সম্পূর্ন মাটি অরগানিক যুক্ত মাটি হিসাবে পরিনত হয়েছে।
এ অবস্থায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড খালটি উদ্ধার করে এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
খালের ধ্বসে যাওয়া স্থানটির পার্শ্বে পৌরড্রেইন, ৩টি টিউবওয়েলের পানি স্লোপের মধ্য দিয়ে সিপেজ করায় কিছু অংশ ধ্বসে গেছে। ধ্বসে যাওয়া অংশটি দ্রুত পুনরায় সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান জানান, ধেবে যাওয়া অংশ টির কাছে একটি বাসার ১০ বাই ১২ ফুট সাইজের একটি রুমের পুরোটাই সেপটিট্যাংক। সেপটিট্যাংকের নীচে ঢালাই না থাকায় সেপটিট্যাংকের ময়লাযুক্ত পানি অনবরত সিপেজ করেছে। ড্রেনের কাজটি বাস্তবায়ন হলে এ সমস্যা সমাধান হবে।
নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানান,আমরা কাজটি নিয়মিত তদারকি করছি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এলাকার সৌন্দর্য্য বাড়বে। এক্ষেত্রে মোহনগঞ্জে ভাল মানের হোটেল মোটেল গড়ে উঠলে স্থানীয় ও বাইরের পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে বলেও জানান তিনি।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।