কক্সবাজারে বন্দুক যুদ্ধে নিহত মজিবুরের মরদেহ আসবে বৃহষ্পতিবার

হানিফ উল্লাহ আকাশ: মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজারে র‌্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত মুজিবুর রহমান নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ছিলেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সে মোহনগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। এছাড়াও তার বিরোদ্ধে নেত্রকোণার বিভিন্ন থানায় চারটি মাদক, হত্যা, ও দ্রুত বিচার আইনের মামলাসহ মোট ১০ টি মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মোহনগঞ্জ থানার ওসি আনসারী জিন্নাৎ আলী।
তিনি আরো জানান মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার বিষয়টি আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি। আমি তার মায়ের সাথে কথা বললে তিনি টিভির খবরে ছেলের নিহত হবার বিষয়টি জেনেছেন বলে জানান।পরে বিষয়টি কক্সবাজার জেলা পুলিশের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বুধবার সকালে পরিবারের সদস্যদের সেখানে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুজিরবুর রহমানের বিরুদ্ধে মোহনগঞ্জ থানায় হত্যা সহ আটটি , নেত্রকোণা সদর থানায় একটি ও বারহাট্টা থানায় একটি মামলা রয়েছে।
জানা গেছে,নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের ২০০৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত হীরা-টুকুর কমিটি মুজিবুর রহমানকে ২০০৫ সালে মোহনগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক নির্বাচিত করে কমিটি গঠন করে। পরে ২০১১ সালে নেত্রকোণা জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি ফয়সাল আহমেদ রনি ও সম্পাদক খুরশেদ আলমের কমিটি এসে মুজিবুর রহমানের কমিটি বাতিল করে নতুন উপজেলা কমিটি ঘোষণা করে। সেই কমিটিতে মুজিবুর রহমান কে বাদ দেয়া হয়। তার পর থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগ বা এর অঙ্গ সংগঠনের কোনো পদে তাকে দেখা যায়নি।
মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র এডভোকেট লতিফুর রহমান রতন বলেন, সে ছাত্রলীগের আহবায়ক ছিল ও পূর্বে থেকেই এসব কাজের সাথে জড়িত। এর আগে মাদক নিয়ে ধরা পড়ায় তাকে জেলা ছাত্রলীগ বহিস্কার করেছে তার পর থেকে দলীয় ভাবে তাকে আর কোনো কর্মকান্ডে রাখা হয়নি।
মোহনগঞ্জ তেতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা মোকাদমা ছিল, এ জন্য তাকে দল থেকে বহি:ষ্কার করা হয়, এছাড়াও সে এলাকায় চেয়ারম্যান পদে নিবার্চনে অংশ নিয়েছিল। গতকাল রাতে শুনেছি সেখানে সে নিহত হয়েছে বন্দুকযুদ্ধে, এসময় তার কাছ ছয় হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তার লাশ আনতে নিহতের ভাই ফারুক কক্সবাজার গিয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন আহবায়ক ও বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের নেতা মুজিবুল আলম হীরা বলেন, মুজিবুরের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ বহিষ্কারের চাপ সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু পরবর্তীতে দলের সম্মেলন হলে তার কমিটি বাতিল হলে নতুন কমিটি আসে।
তবে মুজিবুরের ভাই ফারুকের সাথে একাধিক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য যে,গত মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার জেলায় র‌্যাবের মাদক বিরোধী অভিযানে বন্দুক যুদ্ধে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে মুজিবুর রহমান নিহত হয়।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।