কলমাকান্দায় নির্যাতনের শিকার মা এখন হাসপাতালে

কলমাকান্দা প্রতিনিধি: নেত্রকোণার কলমাকান্দায় বড়খাপন ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামে ছেলে সবুজ মিয়া ও তার স্ত্রী সাহেদা আক্তার দ্বারা নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধা ফসর বানুকে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে তাকে সোমবার রাতে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অভিযোগে ও স্থাূনীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কলমাকান্দার দুর্লভপুর গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর ছেলে সবুজ মিয়াকে জমি লিখে না দেয়ায় নিজের গর্ভধারীনি মা ফসর বানুকে গোয়াল ঘরে আটকে রেখে শারীরীক ও মানষিক নির্যাতন করছিল। যা এলাকার শত শত নর-নারীর মূখে মুখে। সংবাদকর্মীরা এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামানকে অবহিত করেন। পরে ইউএনও সোমবার রাতে বৃদ্ধা ফসর বানুকে ছেলের নির্যাতনের কবল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
বড়খাপন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম হাদিছুজ্জামান বলেন, শুনেছি জমি লিখে না দেয়ায় সবুজ মিয়া ও তার স্ত্রী সাহিদা আক্তার এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এই ছেলেটি খারাপ প্রকৃতির লোক। মাকে প্রায়ই জমির জন্য মারধর করে। মায়ের নামে একটি বয়স্কভাতার কার্ড রয়েছে সেটির টাকাও তুলে আত্মসাৎ করে। বাবার জমিও আত্মসাৎ করেছে সবুজ, এ বিষয়ে পরিষদের অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শিয়াব উদ্দিন খাঁন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন আমরা সার্বক্ষণিক উনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং রবি কল্যাণ সমিতি থেকে ফসর বানুর চিকিৎসার সকল প্রকার ঔষধপত্র দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন,বৃদ্ধা মাকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ও বুধবার অভিযুক্ত সবুজকে অফিসে হাজির হয়ে ব্যাখা প্রদানের জন্য নোটিশ করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, দৈনিক বাংলার নেত্র, যুগান্তর, সমকাল, প্রথম আলো, আমাদের সময়সহ বিভিন্ন জাতীয় পত্র পত্রিকায় অনলাইন মিডিয়াসহ মঙ্গলবার ‘জমি লিখে না দেয়ার জের, কলমাকান্দায় বৃদ্ধ মাকে গোয়াল ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন’ শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।