নতুন প্রজন্মকে নজরুল চর্চার মাধ্যমে সমৃদ্ধ করতে হবে-রাষ্ট্রপতি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদ বলেছেন, “কবি নজরুল সমাজে পরিবর্তনের যে অনির্বাণ শিখা জ্বালিয়েছে তার আলোকচ্ছটা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে ‘সোনার বাংলা’ গড়তে। আমার বিশ্বাস নতুন প্রজন্ম নজরুল চর্চার মাধ্যমে নিজেদের সমৃদ্ধ করবে এবং বৈষম্যহীন, সমতাভিত্তিক একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে দেশপ্রেমের মহান ব্রতে উজ্জীবিত হয়ে জাতি গঠনে অর্থবহ অবদান রাখবে।”

শুক্রবার বিকেলে ত্রিশালের দরিরামপুর নজরুল একাডেমী মঞ্চে আয়োজিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯ তম জন্মবার্ষিকীতে জাতীয় পর্যায়ে তিন দিনব্যাপি অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, “বাংলা সাহিত্য-সংগীতের অন্যতম পথিকৃত যুগস্রষ্ঠা জাতীয় জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁর কালজয়ী প্রতিভা ও জীবন দর্শন, মানবিক মূল্যবোধের স্ফূরণ, সমৃদ্ধশালী লেখনী বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। নজরুল শুধু বাংলার জাতীয় কবিই নন, তিনি জাগরণের কবি, সাম্যের কবি। তিনি শোষন, বঞ্চনা, অত্যাচার, কুসংস্কার ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে তাঁর লেখনীতে তুলে ধরেছেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, আমাদের জাতীয় সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নজরুলের লেখনী আমাদের উজ্জীবিত করেছে। তাঁর জাতীয়তাবোধ বাঙালির অনন্ত প্রেরণার উৎস। পরাধীন ব্রিটিশ আমলে সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে তিনি বাংলা এ বাঙালীর জয়গান গেয়েছেন।”

কবি নজরুল তার ‘ময়মনসিংহ জীবনের’ স্মৃতিচারণ করেছেন জীবন সায়াহ্নে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, “আসানসোলের রুক্ষ এলাকা থেকেন আগত নজরুলের মনে সুজলা, সফলা শস্য-শ্যামলা ত্রিশালের প্রকৃতি প্রবলভাবে রেখাপাত করেছিল। প্রকৃতি প্রেম এবং সৃষ্টিশীলতার এই পরিবেশে কবিকে দারুণভাবে উদ্বেলিত করেছিল। বাঁধনহারা কবি নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে।”

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি সভাপতি বেগম সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: মসিউর রহমান, জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস।

এ সময় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯ তম জন্মবার্ষিকীতে স্মারক বক্তব্য দেন বেগম আকতার কামাল।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।