৬ বছরেও খোলা হয়নি মদন হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন

মদন প্রতিনিধি: সনোলজিষ্ট এর অভাবে মদন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনের প্যাকেট ৬বছরেও খোলা হয়নি বলে এক খবর পাওয়া গেছে। প্রয়োজনীও টেকনেশিয়ানের অভাবে দীর্ঘ দিন ধরে এক্সরে মেশিন, ইসিজি মেশিন পড়ে নষ্ট হচ্ছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ ডাক্তার ফজলে বারী ইভান প্রয়োজনীও টেকনেশিয়ানের অভাবে এসব যন্ত্রপাতি ষ্টোরে পড়ে রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন। হাসপাতালে সকল যন্ত্রপাতি সরবরাহ থাকলেও টেকনেসিয়ানের অভাবে হাসপাতালে আগত সকল রোগীদেরকে সকল প্রকার পরীক্ষার জন্য প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে প্রেরণ করা হয়। ফলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসার উপর আস্থা হারিয়ে ঝোকে পড়ছে ক্লিনিক গুলোর দিকে।
মদন উপজেলার দুই লাখ, আটপাড়া,খালিয়াজুরী উপজেলার অর্ধলাখ লোকের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র ভরসা ৫০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। এখানে প্রতিদিন তিন থেকে চারশ রোগী সেবা নিতে আসত। বর্তমানে ২০/৩০ জন রোগীও আসে না এ হাসপাতালে। সরকার স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করলেও এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি জনগণের কোন কাজে আসছে না। এ নিয়ে এলাকাবাসী ও সচেতন মহল বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের বরাবর অভিযোসহ উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় একাধিক বার উত্তাপন করলেও স্বাস্থ্য সেবার উন্নতি হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আগত রোগী ফতেপুর গ্রামের আজমান বালালী গ্রামের শিপন মিয়া বলেন, মদন নামেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এখানে ব্যবস্থা পত্র ছাড়া অন্য কোনো সেবা পাচ্ছেনা রোগীরা। আগে হাসপাতালে ভিড় থাকতো এখন রোগী আসলেই ডাক্তার পরিক্ষার জন্য প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠায়। গরিব রোগীদের সুবিধার্থে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সকল বিভাগ দ্রুত চালু করা প্রয়োজন।
মদন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ ডাক্তার ফজলে বারী ইভান জানান, সনোলজিষ্ট ও প্রয়োজনীও টেকনেশিয়ানের অভাবে দীর্ঘ দিন ধরে এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক্সরে,আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি মেশিন চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।