পূঁজা দেখতে গিয়ে গনধর্ষনের শিকার স্কুল ছাত্রী

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জে বাবার সঙ্গে পূঁজা অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে গনধর্ষনের শিকার হয়েছেন এক স্কুল ছাত্রী।এঘটনায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতার ভাই।তবে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নির্যাতিতার ভাই জানান,তার বোন মানিকগঞ্জ শহরের একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেনীতে পড়েন।বাবার সাথে ঘিওর উপজেলার কলতা গ্রামে এক আত্বীয়ের বাড়িতে পূজা অনুষ্ঠানে যান।গত মঙ্গলবার(২২ মে)রাত ৮ টার দিকে অনুষ্ঠানস্থল থেকে তাকে ডেকে নিয়ে যান একই গ্রামের জসিম মিয়ার ছেলে জনি(২০)।এর পর তাকে পাশের ফাঁকা মাঠে নিয়ে জনি ছাড়াও একই এলাকার বাবলু মিয়ার ছেলে রুবেল(২৬) ও ইয়াদ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম(২৫) তাকে ধর্ষন করে। স্থানীয় কয়েকজন তাদের হাতে নাতে ধরে ফেললেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। তিনি আরো জানান,ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মজিবর রহমানসহ সমাজপতিরা তাদের মামলা না করতে চাপ দিতে থাকেন। ১ লাখ টাকা নিয়ে ঘটনা আপোষ মিমাংসা করতে বলেন তারা।এতে রাজি না হওয়ায় নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয়া হচ্ছিল। স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান আপোষের প্রস্তাব দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান,ঘটনার পর এলাকার ইউনূছ,রফিক ও শাহাজান আসামীদের হাতে নাতে ধরলেও,তারা ছেড়ে দেন। ধর্ষনের ঘটনা বৃহ্স্পতিবার নির্যাতিতার ভাই বাদী হয়ে ঘিওর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।ওই দিনই মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মানিকগঞ্জের শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাবুবুর রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।