
দুর্গাপুর প্রতিনিধি: নেত্রকোণার দুর্গাপুরে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ও শহরের আনাচে-কানাচে জীবন-মৃত্যু নিয়ে ব্যবসা করছেন এক শ্রেণির অসাধু ক্লিনিক ব্যবসায়ী।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যেখানে-সেখানে গড়ে ওঠা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই ব্যবসা চলছে দেদারছে। সরকারী কোন তদারকি না থাকায় এক শ্রেণির অসাধু ক্লিনিক মালিক, ভুয়া ডাক্তার ও দালাল চক্রের খপ্পড়ে পড়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা সহজ-সরল রোগী ও তার পরিবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। পৌর শহরে সব মিলিয়ে ৩০-৩২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাকলেও প্রশ্ন থাকছে অনুমোতি রয়েছে কোন গুলোর। কয়েকটির লাইসেন্স থাকলেও নাই কোন নিজস্ব ডাক্তার ও বিদ্যুৎ এর সু-ব্যবস্থা। বাহিরের ডাক্তার দিয়ে অপারেশন চলছে প্রতিনিয়ত। কয়েকটি ক্লিনিকে এনেন্থেসিয়ার ডাক্তারই খোদ অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে অনেক ক্লিনিকের পৌর অনুমোতিও নেই। এদের বিরুদ্ধে সিভিল সার্জনের দেখভাল সহ ব্যবস্থা নিতে গেলেই রাজনৈতিক, প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ সহ বিভিন্ন তদবিরের কারণে অনেক সময় অসহায় হয়ে পড়েন ঔষধ প্রশাসন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্লিনিকে দায়িত্বরত প্যাথলজিস্ট বলেন, আমাদের নিজস্ব কোন ডাক্তার নাই, আমরা রুগী গুনে ময়মনসিংহ-ঢাকা থেকে ডাক্তার আসতে বলা হয়। প্যাথলজি খোলা থাকে, রোগী আসলে টেস্ট করাই। লাইসেন্স’র বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো লাইসেন্স পাইনি, দু‘এক মাসের মধ্যেই পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক চালানোর বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। ওই ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারই না। এ রকম নগরীতে অলিগলিতে অসংখ্য গড়ে উঠেছে লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। কেউ ডাক্তার না, তারপরেও ডাক্তারের সাইনবোর্ড লাগিয়ে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে জীবন-মৃত্যু নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে।
ক্লিনিক গুলোর অবস্থা নিয়ে নেত্রকোনা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, দুর্গাপুরে নামে বেনামে অনেক ক্লিনিক রয়েছে, অনেক গুলোর আবেদন রয়েছে, অনেক গুলোরই নেই, লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যে দিক নির্দেশনা রয়েছে, তা অনেক গুলোরই নেই। অচিরেই এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।