আব্দুল্লাহপুরে লাগেজে শিশুর লাশ : ঘাতক রেখাকে কিশোরগঞ্জ থেকে আটক

জেলা প্রতিনিধি: ঢাকার আবদুল্লাহ পুরে ৮ বছরের শিশু গৃহপরিচাকে হত্যার পর ব্রিফকেসে করে ওই শিশুর মৃতদেহ পাচারের চেষ্টার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কাজল রেখাকে রাতে কিশোরগঞ্জ থেকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের গাইটাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি মোবাইল দোকান থেকে দক্ষিণখান থানা পুলিশ তাকে আটক করে। তাকে আটকের পর রাতেই ঢাকায় নেয়া হয়। দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা কাজল রেখাকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করে  বলেন, নিহত শিশুটির নাম সাথী। সে আব্দুল্লাহপুরের ফায়দাবাদ এলাকায় কাজলরেখার বাসায় গ্রহপরিচারিকার কাজ করতো। কাজল রেখা তার মামা শরীফের সহযোগিতায় শিশুটিকে নৃসংশভাবে হত্যার পর তার মরদেহ একটি বড় ব্রিফকেসে ভরে রাখে। শিশুটির মৃতদেহ পাচারের সময় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় আব্দুল্লাহপুরের কোটবাড়িতে পুলিশের চেকপোস্টের সামনে লাগেজটি ফেলে পালানোর সময় শরীফ (৪০)কে আটক করা হয়। এ সময় কৌশলে পালিয়ে যায় কাজল রেখা। পরে শরীফকে সাথে নিয়ে রাতে কিশোরগঞ্জ শহরে অভিযান চালায় দক্ষিণখান থানা পুলিশ। দক্ষিণখান জোনের সহকারি কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা ও অপারেশন অফিসার নূর মোহাম্মদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এ অভিযানে অংশ নেয়। ওসি জানান, শিশুটি কাজল রেখার বাসায় গৃহকর্মী ছিল। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কাজল রেখা মেয়েটিকে হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশে বড় লাগেজে করে নিয়ে যাচ্ছিল। কাজল রেখার বাড়ি বরিশালে। তিনি ঢাকার ডিজে পার্টিতে নাচতো। তার মামা শরীফের বাড়ি যশোরে। অপর দিকে নিহত শিশুটির বাড়ি ময়মনসিংহ বলে জানিয়েছে পুলিশ। খবর পেয়ে শিশুটির বাবা-মা ঢাকায় যাচ্ছেন বলে জানান, দক্ষিণখান থানার ওসি।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।