ময়মনসিংহে বাস ভাংচুর ও শ্রমিক আটকের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: তুচ্ছ ঘটনায় ত্রিশাল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে পরিবহন শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ ও ৪৫টি বাস ভাংচুরের ঘটনাসহ আটক চার শ্রমিকের নি:শর্ত মুক্তি এবং দোষী শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে পরিবহন শ্রমিকরা।
আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়বের বাইপাস মোড়ে দুই ঘন্টা এই অবরোধ কর্মসূচী পালন করে। পরে জেলা ও পুলিশ প্রশাসিনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেয়। অবরোধের কারনে বৃহত্তর ময়মনসিংহসহ সারাদেশের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে মহাসড়কের দু’পাশে শতশত যাবাহন আটকা পড়ে যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
গত ১৩ মে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসকে অপর একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে পরিবহন শ্রমিক ও এলাকারবাসীর দয়ায় দয়ায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা শহরের বাইপাস এলাকায় ও ত্রিশালে কমপক্ষে ৪৫টি বাস ভাংচুর ও ¤্রমিকদের মারধর করে দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ব্যপক ভাংচুর চালায়। এমনকি কৃষকের ফসলের ক্ষেত ও কাঁচাধান পুড়িয়ে ফেলে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে উশৃঙ্কল শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের মারধর ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়।
এরপর বাস ভাংচুর, শ্রমিক মারধর ও সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা ও ত্রিশাল থানায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অজ্ঞাত ৪/৫‘শ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করে জিলা মটর মালিক সমিতি, ত্রিশাল পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও সাংবাদিকরা।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।