নরসিংদীতে পুলিশ সুপারের উদ্যোগে টেটা যুদ্ধ বন্ধের শপথ

বিশেষ প্রতিনিধি: নরসিংদী পুলিশ সুপারের উদ্যোগে নরসিংদী সদর উপজেলার চর করিমপুরের বিবাদমান দুই গ্রুপের টেটা যুদ্ধ বন্ধ করতে মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিলন মেলায় দুই পক্ষের নেতারা আর কখনো টেটা যুদ্ধ করবেন না বলে অঙ্গিকারও করেন। এসময় প্রায় হাজার খানেক ধারালো টেটা পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেন। বিপুল সংখ্যাক লোকের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের নেতাগণ আর কখনো টেটা যুদ্ধ করবে না বলে অঙ্গিকার করে। সেই সাথে উপস্থিত করিমপুরের সর্বস্তরের লোকজন আর কখনো টেটাঁযুদ্ধ করবে না বলে দুই হাত তুলে অঙ্গিকার করেন।
বৃহস্পাতবার করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এই মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিলন মেলা উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠত হয়। মিলন মেলা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদীর পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন (বিপিএম,পিপিএম)। করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রম্যান হারিছ মিয়ার সভাপতিতে ও সদর মডেল থানার অপারেশন অফিসার মোজাফফর হোসেন এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন জাকির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শাহরিয়ার আলম, নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা মো: সৈয়দুজ্জামান। এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিউল আলম বাচ্চু মাষ্টার, জসিম উদ্দিন মাষ্টার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় টেটা যুদ্ধের দুই পক্ষের নেতা মমিন মিয়া ও জাহাঙ্গীর মিয়া আর কখনো টেটা যুদ্ধে জড়াবেনা বলে অঙ্গিকার করে। অপর দিকে জাহাঙ্গীর মিয়া করিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক। এই দুই নেতার মধে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে বহু দিন ধরে টেটা যুদ্ধ চলে আসছিল। এলাকার বাইরে থেকে বিরোধ কে উস্কে দিয়ে মরণপণ যুদ্ধের সৃষ্টি করতো।
এলাকার দীর্ঘদিনের এ সমস্যা নিরসনে কার্যক্রম শুরু করেন পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন। পুলিশ সুপারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দুই পক্ষই এলাকার বৃহৎ স্বার্থে নিজেদের মধ্যেকার বিরোধ নিষ্পত্তি করবে বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালেই করিমপুর বাসীর দীর্ঘ দিনের এ সমস্যার সমাধান হওয়াতে এলাবাবাসীও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। এসময় এলাকাবাসী ও দুই হাত তুলে অঙ্গিকার করেছেন তারা কখনো টেটা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে বলেন,কতিপয় নেতাদের ইন্ধনে যে টেটাযুদ্ধ হয় তাতে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সাধারন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হোতারা নিজেদের গায়ে আচড় লাগতে দেয় না। নিজেরা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করলে শুধুই ক্ষতি। এ থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। পাশের বাড়ির লোক ভাল থাকলে আপনি ভাল থাকবেন। পাশের বাড়ির লোক খারাপ হলে তার কারনে আপনিও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। নিজেকে নিরাপদ রাখতে পাশের মানুষ টিকেও নিরাপদ রাখতে হবে। শুধু আমি ভাল থাকতে চাইলেই ভাল থাকা যায় না। সবাইকে নিছেন ভাল থাকতে হয়। আপনারা সকল বিবেদ ভুলে আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। টেটা যুদ্ধ না করার যে প্রতিজ্ঞা করেছেন তা যেন বজায় থাকে সে আহবান করছি।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।