বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার কেন্দুয়ার উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের সুত্রাকান্দা গ্রামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের পর ধারালো যন্ত্র (ব্লেড) দিয়ে ওই গৃহবধুর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানায় রোববার বিকেলে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ধর্ষিতার স্বামী । ঘটনায় সাথে জড়িত কাউকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, কেন্দুয়া উপজেলার সুত্রাকান্দা গ্রামের মৌজ আলীর ছেলে বখাটে নাজমূল (২৪) দীর্ঘদিন ধরে ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এর জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় ঘরের পেছনে ওই গৃহবধূকে (২৫) সৌচাগারে যাওয়ার সময় তাকে মুখে ধরে পাশ্বের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্ব ধর্ষণ করে। ধষর্ণের পর ধারালো যন্ত্র (ব্লেড) দিয়ে গৃহবধুর যৌনাঙ্গ কেটে দিয় পালিয়ে যায় ধর্ষণকারী। পরে ধর্ষিতার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে মমূর্ষ অবস্থায় পাশ্ববর্তী জেলা কিশোরগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলার বাদি ও ধর্ষিতার স্বামী জানান, আমি গরিব মানুষ। ঢাকার রামপুরায় শ্রমিকের কাজ করে ৩ ছেলে মেয়ের সংসার চালাই। কাজের জন্য বেশী সময় আমাকে ঢাকাই থাকতে হয়। তাই বিভিন্ন সময় এই ছেলে (ধর্ষক) নাকি আমার স্ত্রীকে নানা ভাবে বিরক্ত করত। ওই দিন সে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.ইমারত হোসেন গাজী জানান, আমরা মামলা নিয়েছি। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আসামীকে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান মিয়া জানান, এ ধরণের ঘটনা যদি ঘটে থাকে, তবে অব্যশই এটি একটি স্পর্শকাতর ঘটনা। পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে সঠিক ভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।