
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শুরু হওয়া ঝড়ের তাণ্ডব ও আধা ঘণ্টার শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার অন্তত সহস্রাধিক পাকা, আধা পাকা ও কাচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে শিশুসহ আহত হয়েছেন দুই শতাধিক নারী-পুরুষ।
নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. মো. তাজুল ইসলাম খান জানান, ঝড় থেমে যাওয়ার পর থেকে দুপুর পর্যন্ত দেড়শ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বেশ কয়েকজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ঝড়ের কারণে জেলায় হাজার ভোল্টের বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে সকাল থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে ভাঙা স্থাপনা ও গাছপালা সড়ক থেকে সরিয়ে নিতে নেত্রকোনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা একযোগে কাজ করছেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগের ওয়ারিং ইন্সপেক্টর মো. আল আমিন জানান, জনদুর্ভোগ দূর করতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সাধ্যমত কাজ করছেন। যেসব স্থানে ভাঙা গাছপালা ও বিদ্যুতের ছেঁড়া তারের কারণে মানুষের চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে সেসব স্থানে কর্মীরা নিয়োজিত রয়েছেন।