পূর্বধলায় গৃহবধুর লাশ উদ্ধার:শ্বাশুড়ী আটক

বিশেষ প্রতিনিধি:  নেত্রকোণার পূর্বধলায় উপজেলার হোগলা ইউনিয়নের সাধুপাড়া গ্রামের হদয় মিয়ার স্ত্রী সুমাইয়া খানম সুমি (২১) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত গৃহবধুর শ্বাশুড়ী রিপা আক্তারকে (৪৫) আটক করেছে।
স্থানীয়দের সংবাদে পুুলিশ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে হৃদয় মিয়ার বসত ঘরের বারান্দা থেকে লাশ উদ্ধার করার সময় নিহতের শ্বশুর-শ্বাশুড়ীসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। এসময় পাশের বাড়ি থেকে ওই গৃহবধুর শ্বাশুড়ী রিপা আক্তারকে আটক করে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতের বাবা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাজী সিমলা গ্রামের আবু সাঈদ জানান, গত দেড় বছর আগে তার মেয়েকে বিয়ে দেন তারই ভাগ্নে পূর্বধলা উপজেলার সাধুপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে হৃদয় মিয়ার সাথে।
বিয়ের কিছু দিন পর জামাতা হৃদয় মিয়া তার মেয়েকে বাড়িতে রেখে কর্ম সংস্থানের উদ্দেশে ঢাকায় চলে গেলে হৃদয়ের নেশাগ্রস্থ বাবা আবুল কালাম ও মা রিপা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই তার মেয়েকে মারধর করত। নিহত সুমির একটি কন্যা সন্তান হয় । তার বয়স হয়ে ছিল মাত্র দেড় মাস। সুমির বাবা আরো বলেন, শত লাঞ্চনার মাঝেও আমার মেয়েটি ওই কন্যা সন্তানটিকে নিয়ে বাঁচতে চেয়ে ছিল। কিন্ত তাকে বাঁচতে দিলনা। পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে অপপ্রচার চালিয়েছে আমার মেয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্ম হত্যা করেছে।
স্থানীয়রা জানান, হৃদয়ের বাবা আবুল কালাম নেশাগ্রস্থ ও জুয়াড়ী ছিলেন, ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলাও ছিল। এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
পূর্বধলা থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) বিল্লাল উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে হৃদয়ের ঘরের বারান্দা থেকে বৃহস্পতিবার সুমাইয়া খানম সুমির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মুখে হালকা দাগ রয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা এ মুহূর্তে বলা সম্ভব যাচ্ছে না। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত গৃহবধুর শ্বাশুড়ী রিপা আক্তারকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।