কলমাকান্দায় বৃষ্টিতে আশ্রয় নেয়া কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক

বিশেষ প্রতিনিধি:  নেত্রকোনা নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সাদ্দাম হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে পুলিশ আটক করে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

গত সোমবার বিকেলে নাজিরপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে সাদ্দামকে একমাত্র আসামি করে কলমাকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। সাদ্দামের বাড়ি একই উপজেলার কয়রা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত শাহ আলীর ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রীর বাড়ি কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরা গ্রামে। সে স্থানীয় একটি কওমি মাদ্রাসায় লেখা-পড়া করে। গত সোমবার দুপুরে মেয়েটি বাড়ি থেকে পাশের নাজিরপুর ইউনিয়নের কয়রা গ্রামে তার নানাবাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিল। পথে হঠাৎ করে মুশলধারে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ওই গ্রামের নতুন নির্মানাধীন নির্জন একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এসময় বখাটে সাদ্দাম মেয়েটিকে একা পেয়ে জোড় করে ধর্ষণ করেন। পরে ওই কিশোরীর ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে যান। স্থানীয়রা ও মেয়েটির নানার বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে ওই হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সাজন মো. তাজুল ইসলাম  বুধবার দুপুরে বলেন, ‘মেয়েটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সে শঙ্কামুক্ত। একজন নারী চিকিৎসক দিয়ে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। এ দিকে ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ ঘটনার দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে সাদ্দাম হোসেনকে আটক করে। পরে মেয়েটির বাবা গত মঙ্গলবার সকালে মামলা করলে ওই মামলায় সাদ্দামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মেয়েটির শ্রমজীবী বাবা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।