
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:মাছ ধরার জন্য সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওরের নাওটানা খালটি একদল দুবৃক্ত কেঁটে দেয়ায় শুক্রবার পানিতে তলিয়ে গেল কৃষকের প্রায় ৩’শ একর জমির বোরো ফসলী ধান।’ এ নিয়ে হাওর পাড়ের ৫০ গ্রামের কৃষষকরা উদ্ভেগ প্রকাশ করেছেন।’
স্থনীয় উপকারভোগী কৃষকদের দাবি, এ খাল দ্রুত ভরাট না করলে হাওরের পানির তীব্র তোড়ে যে কোন সময় তলিয়ে যেতে পারে টাঙ্গুয়া সহ আশে পাশের সংসা, এ্যারালিয়াকোনা, গইন্নাকুরি, লামারগুল, টানেরগুল,মাঝেলগুল নান্দিয়া, টুঙ্গামারা, সোনাডুবি, গলগলিয়া, শামসাগর সহ ছোট বড় এসক হাওরের ৫ হাজার একর বোরো ফসলী জমির ধান।’ নাওটানা খাল রক্ষা না করা হলে হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মাণকৃত নজরখালী বেরীবাঁধ সহ কমপক্ষে ৫ থেকে ৬টি বেরীবাঁধ ভাঙ্গনের মুখে পড়বে।
এ অবস্থায় তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুর্ণেন্দু দে শুক্রবার দুপুরে সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দ্রুত খাল ভরাটের জন্য কৃষকদের আশ্বাস দিয়েছেন।’
টাঙ্গুয়ার হাওরের সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ খসরুল আলম শুক্রবার বলেন, মাছ ধরা স্বার্থে কয়েক হাজার কৃষকের দুর্ভোগ ও ফসলহানির কথা বিবেচনায় না নিয়ে একদল জেলে নামের দুবৃক্ত নাওটানা বাঁধটি বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে কেঁটে দিয়েছে। তা এলাকার কেউ বলতে পারছেন না। তিনি আরো বলেন ১০ বছরের এ পুরনো খালের বাঁধটিতে এবারও বাঁধের উপরে মাটি ফেলা হয়েছে কিন্তু খালটি কেটে দেয়ায় শুক্রবার বিকেল পর্য্যন্ত খালের আশে পাশে আবাদকৃত প্রায় ৩’শ একর জমির আধা পাকা বোরো ধান তলিয়ে গেছে।’
উপজেলার ছিলাইন তাহিরপুর গ্রামের কৃষক আহমাদুল কবীর শুক্রবার জানান, ট্ঙ্গাুয়ার হাওরের ভেতর ও এর আশে পাশের কয়েকটি হাওরের ধান পাঁকতে আরো ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে কিন্তু জেলে নামের দৃবৃক্তরা হাজারো কৃষকের কষ্টার্জিত একমাত্র বোরো ধান গোলায় তোলার অপেক্ষা না করেই রাতের আঁধারে মাছ ধরার স্বার্থে খালটি কেটে দেয়ায় কৃষক পরিবারগুলো আবারো ফসল ডুবির আংশকায় হাওর তীওে বসেই চোখের পানি ফেলছেন।’
উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান খসরুল আলম বললেন, একদল দুর্বৃত্ত মাছ ধরার স্বার্থে নাওটানা খালের বাঁধ কেঁটে দিয়েছে, যারা এ অপকর্মের সাথে জড়িত তাদেরকে খুজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি। ’
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুর্ণেন্দু দে শুক্রবার জানান, খাল কাঁটলে পানি এখনো টাঙ্গুয়ার হাওরের ভেতরই রয়েছে সামান্য কিছু বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেলে এখনো আশে পাশের হাওর গুলোতে পানি ডুকতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, খালটি ভরাটের জন্য উপজেলা প্রশাসন আপদকালীন তহবিল থেকে বাঁশ, খুঁটি ,বস্তা ও শ্রমিক সংগ্রহ করা হচ্ছে দ্রুত খাল ভরাটের কাজ শুরু করা হবে।