উস্তাদ ব্রেক ! সামনে ধান ক্ষেত !

বিশেষ প্রতিনিধি : নেত্রকোণার দুর্গাপুরে সামান্য বৃস্টিতেই পৌর শহরের বিভিন্ন্ সড়কে কাঁদা জমে যাওয়ার কারণে যানবাহন চলাচল সহ শহরে হাঁটাই দুঃস্কর হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, পৌরসভার উৎরাইল বাজার, কাঁচারী রোড সহ সব রাস্তা গুলোতেই যেন কাঁদা আর কাঁদা। ঐদিন দুপুরে অল্প বৃস্টি নামতেই কাচারীরোড দিয়ে বালু ভর্তি ট্রাক যাওয়ার সময় ‘‘ট্রাকের হেলপার জোরে বলে ওঠে উস্তাদ ব্রেক! সমস্যা কি? সামনে ধান ক্ষেত, কস কি? আরে উস্তাদ রাস্তার যেই অবস্থা তার মধ্যে আবার বৃষ্টি হইতেই কাম কাইজ রাইখা, দোকানদাররা সুযোগ পাইয়া ধান লাগাইতে শুরু করতাছে, আরে হাচাই দেখি ধান লাগাইবার লাগছে, অহন গাড়ি লইয়া জামু কুনহান দিয়া, এহানকার এমপি, মন্ত্রীরা করে কি? ওরা কি দেহে না? রাস্তা গুলার এই রকম অবস্থা হইয়া গেছে’’ এ কথা গুলো বলে গাড়ী থামিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে ট্রাক ড্রাইভারদের।
গত ২৫ অক্টোবর ২০১৭ইং সনে আনুষ্ঠানিক ভাবে ৩৬ কি:মি: সড়ক ৩১৬ কোটি টাকা ব্যায়ে এ কাজের উদে¦াধন করেন নেত্রকোণার ১-আসনের এমপি মি: ছবি বিশ্বাস। কাজের ওয়ার্ক অর্ডার জনসমক্ষে টাঙ্গানো কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত স্থাপন করা হয়নি কোন বিল বোর্ড। ইতোমধ্যে ১টি পর্যবেক্ষক দল সরজমিনে সড়কটি পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান অনেক অনিয়মের দৃশ্য।
তারা বলেন, কোথাও কোথাও ১ফুট, কোথাও ৩ ফুট গর্ত করা হয়েছে। নিম্ম মানের পাথর, পুরাতন ইটের শুরকি ও কাঁদা মাটি মিশ্রিত বালু ব্যাবহার করা হচ্ছে রাস্তার কাজে। প্রায় ৪০বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‘র সদয় দৃষ্টিতে সড়ক থেকে মহাসড়কে উন্নিত করা হয় দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জের এই সড়ক। দুর্গাপুর, কলমাকান্দা ও পুর্বধলা উপজেলার প্রায় ১২ লাখ লোকের দাবি মহাসড়কটি টেকসই মানের কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমদাদুল হক খান জানানন, আমি এমপি মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি, রাস্তার কাজের ব্যপারে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলম এর সাথে বেশ কয়েকবার কথা বলেছি। কাজের মান নিয়ে অনেকেই আমাকে বলেছে, পুনরায় সরেজমিনে তদন্ত করে অচিরেই এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।