শায়েস্তাগঞ্জে পুলিশ-সিএনজি শ্রমিক সংঘর্ষ: পুলিশসহ আহত শতাধিক

সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর, শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি: মহাসড়কে সিএনজি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা অমান্যকরে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নসরতপুরে সিএনজি শ্রমিক ও পুলিশের মাঝে সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত শতাধিক আহত হয়। শুক্রবার বেলা ১০টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঢাকা-সিলেটে মহাসড়কে সিএনজি চলাচল করলে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় পুলিশ। এর প্রতিবাদে শুক্রবার সিএনজি সংগঠনের শ্রমিকরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জের নছরতপুর এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের সড়িয়ে দিতে চাইলে পুলিশ ও সিএনজি (অটো রিক্সা) শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধেঁ। সংঘর্ষে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। শ্রমিকরা ইট-পাটকেল ও লাঠি দিয়ে পুলিশের উপর আক্রমন চালায়। এতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আনিছুর রহমানসহ অন্তত শতাধিক আহত হয়। এর মধে ১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে। গুরুতর আহতদের হবিগঞ্জে সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। সংঘর্ষের সময় সিএনজি শ্রমিকরা মহাসড়কে কয়েকটি যাত্রীবাহী গাড়ী ভাংচুর করে। এ সময় মহাসড়কের উভয় পার্শ্বে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। মহাসড়কে ২ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌছলে শ্রমিকরা তাদের উপড়ও হামলা চালায়। পরে হবিগঞ্জ থেকে একদল ধাঙ্গা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জসিম উদ্দিন খন্দকার এ প্রতিনিধিকে জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করলে গত বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) ৫টি গাড়ি আটক করে পুলিশ। পরে সিএনজি শ্রমিক ও মালিকদের পক্ষ থেকে (অটোরিক্সা) সিএনজিগুলো ছেড়ে দেয়ার জন্য দাবি করা হয়। পুলিশ সিএনজি ছেড়ে না দেয়ায় গতকাল শুক্রবার সকালে এর জের ধরে সিএনজি শ্রমিকরা মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ দেউন্দি মোড় ও নসরতপুর নামক স্থানে মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে পুলিশ বাধা দেয়ায় সিএনজি শ্রমিকরা পুলিশের উপর হামলা করে। এতে ১৫জন পুলিশ আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।