নাটোরে তামাকের ব্যবহার কমাতে করারোপ করার দাবীতে এ্যাডভোকেসী সভা

নাটোর প্রতিনিধি: “আগামী প্রজন্মকে সুস্থ্য রাখতে তামাক পণ্যের উপর উচ্চহারে করারোপ চাই’ শীর্ষক এক এ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর শহরের একটি রেস্তোরায় স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে এই সভার আয়োজন কওে এ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি)। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নাটোর-০১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এসিডির প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর এহসানুল আমীন ইমন, এ্যাডভোকেসী অফিসার শরিফুল ইসলাম শামীম। বক্তারা বলেন, শুধু উচ্চ করারোপ করেই তামাক পণ্যের ব্যবহার কমানো যাবে না, এর জন্য সুনির্দিষ্ট আইনের প্রয়োগ করে তামাক চাষ বন্ধে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী চান ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি অর্জনে বড় বাধা তামাক। আইএইচএমই-র ২০১৩ গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যমতে বাংলাদেশে প্রতিবছর ৯৫ হাজার মানুষ তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে ভূগে মৃত্যুবরণ করে। এছাড়া ৩লাখ ৮২ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে, ৪লাখ মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে দুরারোগ্য নানা ব্যাধিতে ভুগে। তামাকের ধোঁয়ার কারণে ৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ পরোক্ষভাবে ধুমপানের শিকার হয়। অথচ সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে হাকিমপুরি জর্দা কোম্পানীর মালিককে পুরস্কৃত করা হয়। এ্যাডভোকেসী সভায় অংশগ্রহণকারীরা তামাকদ্রব্য উৎপাদনকারীরা সর্বোচ্চ করদাতা হলেও তাদের পুরস্কৃত না করার দাবী জানান। এছাড়া বক্তারা আরো বলেন ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করা গেলে কৃষি জমিতে কেন তামাক চাষ বন্ধ করা যাবে না। তামাক কৃষিজাত পণ্যের মধ্যে পড়েনা। তাই সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরীর আগেও কৃষি জমিতে তামাকচাষ বন্ধ করে তামাকজাত দ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে বক্তারা মত প্রকাশ করেন।

 

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।