গুরুদাসপুরে পায়ে শিকল বাধা শিশু উদ্ধার

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে একটি মাদরাসা থেকে শিকল পরা অবস্থায় পালিয়ে যাওয়া জিম নামে এক শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী । এসময় মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে চতুর শিশুটি। শিশু কন্যা জিম-১০ উপজেলার কাছিকাটা গ্রামের মৃত আয়নুল হকের মেয়ে এবং নূরে মদিনা হাফিজিয়া কওমি মাদরাসার ছাত্রী।
পালিয়ে যাওয়া শিশুটির মা ছাবিনা বেগম জানান, জিমকে স্থানীয় পাচশিলা নূরে মদিনা হাফিজিয়া কওমি মহিলা মাদরাসায় ভর্তি করে দেন। এখানে আবাসিক ছাত্রী হিসেবে থাকা অবস্থায় দু’তিনবার সে পালিয়ে বাড়ি চলে আসে। একারণে মওলানা সাহেবদের সাথে অলোচনা করে তাকে রাতে চৌকির সাথে শিকল দিয়ে বেধে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। যাতে সে পালিয়ে যেতে না পারে। এ অবস্থায় গত শুক্রবার রাতে সে চৌকির সাথে শিকল খুলে পালিয়ে যায়। এর আগে তাকে প্রাথমিক সরকারী বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেয়া হয়, সেখানেও সে লেখাপড়া করেনি।
মাদরাসার পরিচালক পিয়ারুল ইসলাম জানান, মেয়েটিকে লেখাপড়া করানোর স্বার্থেই জিমের মায়ের অনুমতি ক্রমে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। এখন তার মা যেটা ভাল মনে করেন সেটা করবেন।
গুরুদাসপুর থানার উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, মেয়েটি মাদরাসা থেকে পালিয়ে চাচকৈড় বাজার এলাকায় এসে কান্না শুরু করে। তার কান্না শুনে এলাকাবাসী শিশুটিকে উদ্ধার করে। পরে বিষয়টি সকালে পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটি থানায় নিয়ে আসে। এরপর অপহরন হয়েছে বলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে শিশুটি। শিশু জিম পুলিশকে জানায়, রাত ২ টার দিকে প্রাকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্যে তার মায়ের সাথে সে ঘরের বাহিরে যায়। তারপর হঠাৎ অপরিচিত কয়েকজন লোক এসে তার মাকে মুখ চেপে ধরে মোটর সাইকেলে করে নিয়ে যায় এবং তাকে পায়ে শিকল পড়িয়ে তালা দিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে চাচকৈড় বাজার পাড়ায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে তদন্ত করে দেখা যায় শিশুটি মিথ্যা বলেছে। পরে শিশুটি তার আত্মীয় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যখন শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় তার তখন তার পায়ে শিকল বাধা ছিল।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।