ধানকাটার শ্রমিক সংকট দূর করতে হলে আধুনিক যন্ত্র কিনতে হবে- সিনিয়র সচিব মঈনউদ্দীন আবদুুল্লাহ

এস.এম.সারোয়ার খোকন: ধানকাটা সংকট দূর করতে হলে ধানকাটার যন্ত্র কিনতে হবে। ১০জন মিলে যন্ত্র কিনতে পারবেন। বছরের যে টাকা শ্রমিকদের দেন সে টাকাও লাগবেনা ধান কাটার আধুনিক যন্ত্র কিনতে। বর্তমান সরকার ৭০% ভর্তূকী এই যন্ত্র কৃষকদের মাঝে বিতরণ করছে। নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের হাওরে ধানকাটা শ্রমিক সংকট নিরসনে কৃষকদের ৭০% কম মুল্যে ধান কাটার আধুনিক যন্ত্র প্রদান করা হচ্ছে। ধানকাটার যন্ত্রে ধানকাটা প্রত্যক্ষ কালে এ কথা বলেন কৃষি মন্ত্রনালয় সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুুল্লাহ। তিনি বুধবার এই যন্ত্রে হাওরাঞ্চলে ধান কাটা উদ্বোধন করেন।


তা ছাড়াও কৃষিকে যান্ত্রিকি করণ, ডিঙ্গাপোতা হাওরে বোরো ধান কর্তন করে উৎপাদন পরিমাপ ও সংকটকালে ভাসমান প্রযুক্তিতে ঘাস আবাদ বিষয়ক পৃথক ২টি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রনালয় সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুুল্লাহ।
এসময় নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাজমূল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রনালয় মহা পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন, ধান গবেষনা ইনষ্টিটিউড মহা পরিচালক ডঃ মোঃ শাহজাহান কবীর, ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচলক মোঃ আসাদুল্লাহ, মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকম শফিকুল হক, মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মেহেদী মাহমুদ আকন্দ, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান রতন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তাং প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কৃষি কর্মকর্তা মো: মফিজুল ইসলাম নাফিজ।
ব্রিধান -২৮ কর্তন করে ফলন পাওয়া গেছে একরে ৫৮ মণ ধান। ধান কর্তন নমুনা সংগ্রহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক বিালস চন্দ্র পাল, নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আক্তারুজ্জামান, এসি ল্যান্ড মো: রেজাউল করীম প্রমুখ।
অপরদিকে বর্ষাকালে হাওর এলাকায় ঘাস সংকটের কারণে কৃষকরা কম দামে হালের বলদসহ গরু, বাচুর বিক্রি না করে দিয়ে মারাত্বক ক্ষতির সম্মুখীন হন। কৃষক যাতে উপকৃত হয়,সে জন্য বাড়ীর পাশে ডোবায় ভাসমান পদ্ধতিতে হাইব্রীড নেপিয়ার ঘাস চাষ করে আপদকালীন সময়ে এই ঘাস আবাদ করে গরুকে খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।