কলমাকান্দায় মাদ্রাসা শিক্ষককে ছুরিকাঘাত

কলমাকান্দা প্রতিনিধি: কলমাকান্দায় নাজিরপুর বাজারে শুক্রবার বিকেলে নাজিরপুর মোহাম্মদীয় দারুস সালাম মাদ্রাসার মোহতামিম্ (শিক্ষক) হাফেজ মাওলানা হাজী আবদুল কাদেরকে (৫০) ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালায় চান মিয়া(৬০)। এ সময় ফেরাতে গেলে ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন (৬০) আহত হন। হাফেজ মাওলানা আবদুল কাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং জালাল উদ্দিনকে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মোহাম্মদীয় দারুস সালাম মাদ্রাসার মোহতামিম্ হাফেজ মাওলানা আবদুল কাদের দীর্ঘদিন ধরে ওই মাদ্রসায় শিক্ষকতা করেন। শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর নাজিরপুর বাজারে সাথী এন্ড বিথী লাইব্রেবীর সামনে দাড়িয়ে ছিলেন। এ সময় পশ্চিম নাজিরপুর গ্রামের মৃত ছামেদ আলীর ছেলে চাঁন মিয়া অতর্কিতভাবে তার ওপর চড়াও হন এবং উপর্যুপরি ছুড়িকাঘাত করেন। এতে আবদুল কাদের গুরুতর জখম হন। এ সময় তাকে বাঁচাতে ভবানীপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন এগিয়ে যান। চান মিয়া তাকেও এলোপাথারী আঘাত করেন। এতে তার ডান হাতের রগ কেটে যায়। এলাকাবাসী হামলাকারী চান মিয়াকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এবং মাওলানা আবদুল কাদের ও জালাল উদ্দিনকে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল কাদেরের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

কলমাকান্দা থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে চাঁন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার দোষ স্বীকার করেছে। হামলার কারন জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে এলাকায় সাধারণ জনতার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।