সুনামগঞ্জে হিজল বাগানে শ্বাসনালী কাঁটা কলেজ দপ্তরী উদ্ধার!

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:  সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে টাঙ্গুয়ার হাওরের নির্জন হিজল বাগান থেকে শ্বাসনালী কাঁটা অবস্থায় মৃতপ্রায় সুলোমান মিয়া (৪২) নামের এক কলেজ দপ্তরীকে থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে।

মৃত প্রায় ওই ব্যাক্তিকে তাহিরপুর ও ট্যাকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে সন্ধায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।’

সুলোমান তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের গোলকপুর সড়ক পাড়ার মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে।’ তিনি সিলেটের মেজর টিলার মোহাম্মদপুরের লন্ডন গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে দপ্তরী পদে কর্মরত আছেন।’

আহত সুলেমানের পারিবারীক সুত্রে জানা যায়, সিলেটের মেজরটিলা ইসলামপুরের বাসা থেকে লন্ডন গ্রেস স্কুল এন্ড কলেজে যাবার কথা বলে গত বুধবার সকাল সাড় ৯টায় বাসা থেকে বেড়িয়ে যান সুলেমান। এরপর তিনি আর বাসায় না ফেরায় পরিবারের লোকজন সম্ভ্যাব্য স্থানে খোঁজাখুজি করে তার কোন সন্ধান পাননি।

এদিকে তাহিরপুরের বিনোদপুর গ্রাম সংলগ্ন টাঙ্গুয়ার হাওরে রক্তার্থ অবস্থায় একদল গরু রাখাল এক ব্যাক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ট্যারেঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে বিকেলে পুলিশ বাগান থেকে গলার শ্বাসনালী কাঠা মৃত প্রায় ওই ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে তার পরিচয় শনাক্ত করে গ্রামের বাড়ি গোলকপুর সড়ক পাড়ায় থাকা পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়।’

সিলেটের মেজর টিলা ইসলামপুরে থাকা সুলোমান মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম শুক্রবার সন্ধা পৌণে ৭টায় স্বামীর নিখোঁজের বিষয়টি জানিয়ে বললেন, বুধবার তাইন (স্বামী) কলেজে যাওয়ার কথা কইয়া বাসা থাকি বারইছন ((বাহির), এরপর আমরা তানর আর খোঁজ পাইরামনা।

তাহিরপুরের গোলকপুর সড়ক পাড়ায় থাকা সুলেমানের ছোট ভাই শুক্রবার বিকেলে জানান, বড়ভাই সিলেট থেকে আমাদের গ্রামের বাড়িতেও আসেননি , আমরা বিকেলে পুলিশের মাধ্যমে খবর পাই ভাইকে আহত অবস্থায় হিজল বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ’

তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর জানান, নিখোঁজ সুলেমান দৃবৃক্তদের দ্বারা হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন নাকী নিজেই আত্বহত্যার চেষ্টা করেছেন সে বিষয়টি তিনি সুস্থ্য না হওয়া পর্য্যন্ত কোন কিছুই সুনিদ্রিষ্ট ভাবে বলা যাচ্ছেনা।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।