ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে শিশু কন্যা ধর্ষণকারী ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্কুলের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকজন। শনিবার উপজেলার রতারগাঁও উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ মানববন্ধন কর্মসুচী পালিত হয়।।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের বাঘবেড় গ্রামে গত মঙ্গলবার রাতে শিশু কন্যাকে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রথম শ্রেণীতে পড়–য়া ওই মেয়েটি বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
উপজেলার সমতা জনসংগঠনের আয়োজনে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, উপজেলার রতারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মহসিন আহমেদ, পরিচালনা কমিটির সদস্য মরম আলী, সহকারি শিক্ষক হাবিবুর রহমান, মিসবাহ উদ্দিন, আবদুল মান্নান, নারী নেত্রী জাহানারা বেগম, রাবেয়া বেগম, জামিনা আক্তার, তাজুল ইসলাম, শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার ও সোহেল আহমদ প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা ধর্ষণকারী ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।’
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে বাঘবেড় গ্রামের সলুক শাহের মাজারে ওরস ছিল। ওরস দেখতে গ্রামের অন্যদের সঙ্গে ওই শিশু কন্যা সেখানে যায়। রাত ৮টার দিকে শিশু কন্যাকে সেখান থেকে জোর ধরে তুলে নিয়ে যায় পাশের আক্তাপাড়া গ্রামের কথিত ভন্ড পীর হাসান আলী (৪৫)। পরে বাঘবেড় গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদে ভবনের পেছনে নিয়ে শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশু কন্যার চিৎকার শুনে আশাপাশের লোকজন সেখানে গেলে হাসান আলী পালিয়ে যান। পরে শিশু কন্যাকে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাপাসাতালে এবং পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বুধবার আক্তাপাড়া গ্রামের হাসান আলী তার অপর সহযোগী জসিম উদ্দিন ও জালাল মিয়াকে আসামি করে বিশ্বম্ভরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এরপর হাসান আলীকে গ্রেপ্তার করেছে।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মোল্লা মো. মনির হোসেন শনিবার রাতে বলেন, হাসান আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।