
শরীয়তপুর প্রতিনিধি: মোবাইল ফোনে রঙ নাম্বারে সম্পর্ক করে প্রেমিকের বিয়ের আশ্বাসে স্বামীর ঘর ছাড়লেন এক গৃহবধূ। তিনি এক সন্তানের জননী। পরে প্রেমিক বিয়ে না করায় প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন ওই গৃহবধূ। মানিকগঞ্জ জেলার ওই গৃহবধূ শুক্রবার সকাল থেকে বিয়ের দাবিতে ভেদরগঞ্জে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন।
প্রেমিক জসীম পাল ভেদরগঞ্জের চরভাগা ইউনিয়নের পাল কান্দি গ্রামের বাসিন্দা শফিক পালের ছেলে। আর প্রেমিকা ময়না আক্তার মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইড় উপজেলার বাসিন্দা কোমর আলী মণ্ডলের মেয়ে। শুক্রবার সকালে উপজেলার চরভাগা ইউনিয়নে শফিক পালের বাড়িতে বিয়ের জন্য অনশনে বসেন ময়না।
ময়না আক্তার জানান, প্রায় চার মাস আগে মানিকগঞ্জের ময়নার সঙ্গে জসীমের মোবাইল ফোনে রঙ নাম্বারে বন্ধুত্ব হয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জসীমের সঙ্গে সম্পর্কের এক মাস পরে বিয়ে করার আশ্বাসে নিজের স্বামী ও ২ বছর বয়সী মেয়েকে রেখে জসীমের কাছে চলে আসেন ময়না। পরে বিয়ে না হওয়ার বিষয়টি গোপন রেখে ময়নার কানের দুল, হাতের চুড়ি, গলার হার ও মোবাইল ফোন বিক্রি করে গাজীপুরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করতে থাকে ময়না ও জসীম। ময়না জসীমকে বিয়ে করার জন্য বারবার চাপ দিতে থাকলে গত মঙ্গলবার ময়নাকে ঢাকায় রেখে পালিয়ে যায় জসীম। পরে জসীমের আলামিন নামে এক বন্ধুর সহযোগিতায় ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে জসীমের গ্রামের বাড়িতে আসে ময়না।
ময়না আক্তার আরো জানান, জসীমের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ফলে ময়না ১ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেছে। জসীমের কারণে তিনি তার স্বামী, সন্তান, মা-বাবা সব হারিয়েছে। এখন জসীম তাকে গ্রহণ করছে না। তাই নিরুপায় হয়ে তার বাড়িতে এসেছে। তাকে না পেলে ময়না আত্মহত্যা করবে বলে জানান।এ দিকে ময়না জসীমের বাড়িতে আসার পর জসীম পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পরে জসীমের মা তাসলিমা বেগম বলেন, জসীম এখন কোথায় আছে জানি না । মোবাইল ধরছে না তাই যোগাযোগও করতে পারছি না। জসীমের সাথে যোগাযোগ করতে পারলে বুঝা যেত সত্য ঘটনা কি?
সখিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।