ছেলের সামনে বাস চাপায় পিষ্ট হল মা

ময়মনসিংহ ব্যুরো : ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কে ঈশ্বরগঞ্জ এলাকায় দ্রুত গতিতে ছুটছে একটি ইজি বাইক । চলতে চলেতে বাঘবেড় যাওয়ার রাস্তায় প্রবেশ করতে ইজিবাইকটি হটাৎ রস্তা ক্রস করলে ধাক্কা সামলাতে না পেরে রাস্তার উপর পরে যান শিউলি আক্তার। সাথে সাথেই কিশোরগঞ্জগামী এমকে সুপার নামের একটি বাস চাপা দেয় ঐ নারীকে। এসময় বাসের চাকায় আটকে প্রায় একশ গজ দূরে ছেচড়ে যায় শিউলি আক্তারের দেহ। ইজবিাইক থেকে নেমে বাসের পেছনে মায়ের লাশের জন্য ছুটতে শুরু করে ছেলে তুহিন। এক পর্যায়ে বাস থামে তবে ততক্ষনে মায়ের দেহ বাসের চাকায় আটকে যায়। মাকে বাচাতে বাসটি ঠেলে সরাতে চেষ্টা করে তুহিন এগিয়ে আসে এলাকাবাসিও। তবে ততক্ষনে সব শেষ সড়কের উপর তখন মায়ের নিথর দেহের সামনে ছেলের আহাজারি করা ছাড়া কিছুই করার থাকে না। 
বৃহষ্পতিবার দুপুরে এমন ঘটনা দেখে স্তম্ভিত উস্থিত সকলেই। এসময় যাত্রীবাহি বাস থেকে পালিয়ে যায় চালক। মেহেদী হাসান তুহিন বলেন , চাচার লাশ দেখতে মাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন মেহেদী হাসান তুহিন। এভাবে নিজের চোখের সামনে মাকে চলে যেতে দেখবো কখনো ভাবিনি। যখন মায়ের শরীরের উপর বাসের চাকা তখন আমার গায়ের সব শক্তি দিয়ে বাসটাকে ঠেলে সরাতে চাইলাম। কিন্তু আমি পারিনি মাকে বাচাতে। তুহিন মাওলানা ভাষানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। পরিবারের বড় ছেলে। বাবা ঈশ্বগঞ্জ মাইছবাগ এলাকার ব্যাবসায়ী মতিউর রহমান। দুই বোন দশম ও পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ে। তুহিন জানান, তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিলো মায়ের। ছেলেকে প্রতিষ্ঠিত দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে এই দর্ঘটনা সকল কিছু উলট পালট করে দিয়েছে। এঘটনায় উত্তেজিত জনতা বাসটিতে ভাংচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ঈশ্বগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম জানান, এই ঘটনায় ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে।
 

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।