হাওরাঞ্চলে বোরোর বাম্পার ফলন : ধান কাটার উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

বিশেষ প্রতিনিধি : আগামী পক্ষকালের মধ্যে যদি আবহাওয়া জনিত কোন দুর্যোগ দুর্বিপাক না হয়, তাহলে নেত্রকোণা জেলায় এবার বোরোর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে মোহনগঞ্জ এবং খালিয়াজুরী উপজেলার ডিঙ্গাপোতাসহ বেশ কিছু হাওরে বিআর -২৮ কাটা শুরু হয়েছে ।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে নেত্রকোণায় এবার লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ করা হয়েছে। সারা জেলায় ধানী হাওর এলাকাগুলো সবুজ ছাড়িয়ে এখন সোনালী রঙের আভায় উদ্ভাসিত। কৃষকরা বলছেন, গতবারের মত এবার আর অকাল বন্যায় তাদের জমি গ্রাস করতে পারবে না। কারণ ইতিমধে বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। প্রায় ১৯ কোটি টাকা ব্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধগুলো নির্মাণ করে। নেত্রকোণা জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার নেত্রকোনা জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্য মাত্র ছিল ১ লাখ ৮১ হাজার ৫ শত হেক্টর। আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯ শত হেক্টর। জেলার হাওর উপজেলা হিসেবে চিহ্নিত খালিয়াজুরী, মোহনগঞ্জ, মদন,কলমাকান্দার কিয়দংশ,আটপাড়া এবং বারহাট্টার হাওরের বি.আর-২৮ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে কাটা শুরু হবে। আর বিআর -২৯ আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যে কাটার সম্ভাবনা, কারণ এই ধান উঁচু জমিতে লাগানো হয়েছে এবং এর ফলনও একটু দেরীতে হয়।


নেত্রকোণা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপরিচালক বিলাশ চন্দ্র পাল বলেন, গত সপ্তাহের বৃষ্টির কারণে বোরোর জমি সতেজ হয়ে উঠেছে। এখন রোদ পাবার কারণে ধান গাছে ধান ফলন হচ্ছে। সরকারের পক্ষ হতে কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় পর্যাপ্ত ‘নন ইউরিয়া’ সারও কৃষকদের বিনা মূল্যে প্রদান করা হয়েছে। এক সময়ের সবুজ কার্পেট এখন সোনালী রঙে ঝলমল বলে তিনি মন্তব্য করেন।
নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম খালিয়াজুরী এবং মোহনগঞ্জের হাওর এলাকাগুলো পরিদর্শন করে জানান, এই সমস্ত হাওরের বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুত বাঁধ নির্মানে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। এখন ভয়ের তেমন কোন কারণ নেই। বড় ধরনের কোন দুর্বিপাক না হলে বোরোর বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। খালিয়াজুরীর একটি হাওরে ধান কাটার উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম।
এখানে উল্লেখ্য,গত বছর এই সময়ে আগাম বন্যায় নেত্রকোণার হাওরাঞ্চলের সমস্ত বোরো ফসল তলিয়ে গিয়েছিল। কৃষকরা এক ছটাক ধানও ঘরে তুলতে পারেনি। টাকার অংকে ক্ষতির পরিমান ছিল ৭ শত কোটি টাকা।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।