
বিশেষ প্রতিনিধি: ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, আগামী জুনের মধ্যে ৫ জি চালু করা হবে। এবং দেশের সকল নাগরিককে একদামে ইন্টারন্টে দেয়া হবে। এজন্য স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়া হবে। পাবলিক স্পেসে উন্মুক্ত ইন্টারনেট চালু থাকবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে দেশের সকল সরকারী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হবে। জনগনের সুবিধার্থে পর্যায় ক্রমে বাস স্ট্যান্ড ও রেল স্টেশন গুলোতে এ সংযোগ প্রদান করা হবে। পিছিয়ে পড়া জাতি হিসাবে আমরা আর থাকতে চাই না। আগামী এপ্রিল মাসে আমরা আমাদের যেসব স্থানে ক্যাবল যায়নি সেখানে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট চালু করবো। তিনি বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটায় নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন। এছাড়াও তিনি বলেন বাঙালী হিসেবে আমরা ৩২৪ বছর পিছিয়ে ছিলাম। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আগামী এক বছরের মধ্যে আমরা এই ঘাটতি পূরণ করবো।
নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবের পদাধিকার বলে সভাপতি, জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিয়র রহমান খান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল, দৈনিক বাংলার নেত্র পত্রিকার সম্পাদক কামাল হোসেন,সাংবাদিক আলপনা বেগম।
মত বিনিময় সভায় মন্ত্রী আরো বলেন, রাজধানীর বাহিরে ইন্টারনেট ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক এটা সত্যি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইন্টারনেটের মূল্য বা ওয়াই-ফাই-এর মূল্য সারা দেশে এক করার জন্য যা যা করনীয় সে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে প্রচলিত মিডিয়া সংবাদপত্র বা চ্যানেলগুলোর চেয়ে এখন সামাজিক বা স্যোসাল মিডিয়া বেশী গুরুত্ব পাচ্ছে। মুহুর্তের মধ্যে সকল খবর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যাচ্ছে। একটা সময় আসবে যখন কাগজ কলমের যুগ শেষ হয়ে যাবে, শুধু ইন্টারনেটের যুগ থাকবে। সামনে যে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে তা ধারন বা গ্রহণ করার জন্য আমাদের সকলের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ফাইভ-জি চালুর জন্য কাজ করছি। ফাইভ-জি চালু হলে ২০২০ সালের মধ্যে এদেশ তথ্য প্রযুক্তি খাতে অনেক এগিয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এদেশকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদেরকে আরো বেশী দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।