ভূয়া যুগ্ম-সচিব পরিচয়ের এক প্রতারক গ্রেফতার

বিশেষ প্রতিনিধি:  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যুগ্ম-সচিব পরিচয়দানকারী এক প্রতারককে মঙ্গলবার বরগুণা থেকে গ্রেফতার করেছে নেত্রকোণার সিআইডি পুলিশ।
পুলিশের একটি বিশেষ সূত্র জানায়, বরগুণা জেলার আমতৈল এলাকার হাফিজুর রহমান জিহাদ নামে এক ব্যক্তি নেত্রকোণার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যুগ্ম-সচিব পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়। এবিষয়ে খবর পেয়ে তদন্তে নেত্রকোণার পুলিশের সিআইডির একটি দল।
মঙ্গলবার দুপুরে বরগুণার আমতলী উপজেলায় আমতলী পৌর শহরের মহিলা কলেজ সড়কে বাসার সামনে থেকে তাকে ও তার সহযোগী গাড়িচালক আনিসুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই বরগুনার প্রতারকের নাম মো. হাফিজুর রহমান জাহিদ (৪৭)। সে ভুয়া যুগ্মসচিব পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত প্রতারণা করে আসছিল।
আটকের সময় তার কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গাড়ির স্টিকার, যুগ্মসচিব পদ মর্যাদার কার্ড ও প্রকল্প পরিচালকের ব্যবহৃত সিল ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মনোগ্রাম লাগানো একটি গাড়িও জব্দ করা হয়।
নেত্রকোণার পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বরগুণার আমতলী পৌর শহরের মহিলা কলেজ সড়কের মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জেলার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার পলগাঁও গ্রামের নাজিমুল গনি টুটুলের মাধ্যমে তার চাচাতো ভাই তোফায়েল হোসেন ও রতন নামের দুই ব্যক্তিকে পুলিশের এস.আই পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২০ লাখ টাকা নেয়।
নেত্রকোণার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন জানান, ২৩ মার্চ টুটুল বাদী হয়ে ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা করেন। পরে থানা পুলিশ মামলাটি সিআইডি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ।

নেত্রকোণার সিআইডির এসআই প্রীতেশ তালুকদার জানান, জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যুগ্মসচিব পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছে। তার বিরুদ্ধে নেত্রকোণা সদর থানার একটি প্রতারণা মামলায় হলে তাকে গ্রেফতার করেছি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক প্রতারণা মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, জাহিদ প্রতারণা করে সুনামগঞ্জ জেলার জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে ১৭ লাখ টাকা ও পুলিশে চাকরি দেয়ার কথা বলে মোহনগঞ্জের পাঁচজনের কাছ থেকে ৩৬ লাখ টাকা ও সচিবলায়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে বারকু নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রতারককে আটকের পর তাকে নেত্রকোণায় আনা হচ্ছে। আনার পর বিস্তারিত জানাবো হবে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।