বিয়ের সাত দিনের মাথায় নববধূর লাশ উদ্ধার

বিশেষ প্রতিনিধি: বিয়ের মাত্র সাত দিনের মাথায় নেত্রকোনায় শোবার ঘর থেকে হালিমা বেগম (২০) নামে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বামীর পরিবারের লোকজনের দাবি, ওই নববধূ ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।
অন্যদিকে, তাঁর বাবার বাড়ির স্বজনদের অভিযোগ হালিমাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে জেলার দুর্গাপুর উপজেলার গাভাউতা গ্রামে। গতকাল শনিবার সকালে পুলিশ নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা, পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাভাউতা গ্রামের আবুল হাসিমের ছেলে বিল্লাল মিয়ার (২৮) সঙ্গে গত ১৬ মার্চ পূর্বধলা উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের আন্ধা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের মেয়ে হালিমা বেগমের বিয়ে হয়। এরপর থেকে তিনি স্বামীর বাড়িতে ছিলেন। গত শুক্রবার রাত নয়টার দিকে হেলাল উদ্দিন হালিমার মৃত্যুর খবর পেয়ে মেয়ের শ^শুরবাড়িতে গিয়ে মেঝের ওপর তার লাশ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে গতকাল শনিবার সকালে পুলিশ নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ দিকে ওই দিন রাতে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে।

হালিমার বাবা হেলাল উদ্দিন গতকাল শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের সময় বিল্লালকে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে আরও কিছু টাকা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিদৃষ্ট সময়ে টাকা দিতে না পারার কারণেই বিল্লাল আমার মেয়েকে হত্যা করে এখন ‘আত্মহত্যা’ বলে প্রচার চালাচ্ছে। তারা বলছে হালিমা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।

হালিমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় এ নিয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি তাঁর স্বামী বিল্লালের মুঠোফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, নিহতের গলায় হালকা দাগ রয়েছে। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই প্রকৃত রহস্য বেড়িয়ে আসবে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।