নেত্রকোণার মগড়া নদীকে দখলমুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণা শহরের মগড়া নদী দখলমুক্ত ও সৌন্দর্যবৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পৌরসভা কার্যালয়ের সামনের সড়কে স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জনউদ্যোগ এই মানবন্ধনের আয়োজন করে।
এতে শহরের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেন।
সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও নির্বাহী সদস্য সাইফুল্লাহ এমরানের পরিচালনায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, জেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, সুজন জেলা কমিটির সভাপতি শ্যামলেন্দু পাল, জেলা আর জেএফ সভাপতি ও সাংবাদিক দিলওয়ার খান, জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ভজন দাস, আলোকিত নেত্র পত্রিকার সম্পাদক এম মনিরুজ্জামান, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি কেশব রঞ্জন সরকার, রেড ক্রিসেন্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন, শিকড় উন্নয়ন কর্মসূচির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি সজীব সরকার, দেশ টিভির সাংবাদিক লিটন ধর গুপ্ত, সময় টিভির সাংবাদিক আলপনা বেগম, প্রথম আলোর সাংবাদিক পল্লব চক্রবর্তী প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, ময়মনসিংহের ফুলপুর এলাকা থেকে উৎপত্তি হয়ে নেত্রকোনার মদন উপজেলার বারুনি নদী পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটির বিভিন্ন অংশে দখল ও দুষণে ভরে গেছে। এর মধ্যে জেলা শহরের আনন্দবাজার থেকে মালনী এলাকায় প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অংশে দুই তীরে পাঁচ শতাধিক স্থাপনা গড়ে ওঠেছে। এর মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০৪টি উচ্ছেদ মোকদ্দমা ও ২০টি দেওয়ানি মালনা রয়েছে। এ ছাড়াও গৃহস্থালি বর্জসহ পৌরসভার ১২টি নর্দমার পানি কোন রকম পরিশোধন ছাড়াই ফেলা হচ্ছে নদীতে। শহরের নদীটির বিভিন্ন অংশে পূর্বে যে প্রায় ২৫টির মতো গোসলের ঘাট ছিল বর্তমানে তাও দখলদারদের আওতায় চলে গেছে। বক্তারা দ্রুত নদিটির বিভিন্ন অংশ দখলমুক্তসহ খনন করে সৌন্দর্যবর্ধন ও বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নেত্রকোনা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী নুরনবী জানান, শহরের আড়াই কিলোমিটার অংশ খনন করে সৌন্দর্যবর্ধন ও বিনোদন কেন্দ্র তোলতে ৩৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।