‘ছাত্রলীগের সভাপতির পদ পেতেই শাওনকে হত্যা করে সঞ্জয়’

উবায়দুল হক, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি পদ পেতেই পরিকল্পিতভাবে শাওনকে গুলি করে হত্যা করে সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় দত্ত –এমনটিই দাবি করেছেন নিহতের বাবা এমএ কুদ্দুস।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে ছাত্রলীগ সাবেক সহ-সভাপতি আশফাক আল রাফি শাওন হত্যার বিচার দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নিহত শাওনের বাবা এমএ কুদ্দুস বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে হত্যার শিকার শাওন ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আর সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন সঞ্জয় দত্ত। আসন্ন ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে দুজনই সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। সভাপতির পদ নিশ্চিত করতে পরিকল্পিতভাবে তার অনুসারীদের নিয়ে শাওনকে গুলি করে হত্যা করেছে  সঞ্জয় দত্ত।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, আমি মানুষের সাথে দীর্ঘদিন রাজপথে কাজ করেছি। কোনোদিন আমি কারো কোনো ক্ষতি করি নাই। আমার একমাত্র সন্তানকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে আমি আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। যারা আমার একমাত্র পুত্র শাওনকে হত্যা করেছে তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হোক এটাই আমার দাবি।
তিনি বলেন, সন্তানের শোকে আমি আমার স্ত্রী ও একমাত্র কন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। নিহত সন্তানের লাশ কাটাছেড়া হোক এটা আমি ও আমার পরিবারের কারো কাম্য ছিল না বিধায় কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে শাওনের লাশ দাফন করি। অনেকের সাথে পরামর্শ ও হত্যাকারীদের তথ্য এবং মূল রহস্য উদঘাটন করে মামলাটি দায়ের করতে দেরি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- নিহত শাওনের মা নিলুফা সুলতানা পপি, একমাত্র বোন ফৌজিয়া আক্তার ফ্লোরা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল হক শামীম, এডভোকেট পিযুষ কান্তি সরকার, শওকত জাহান মুকুল, আহাম্মদ আলী আকন্দ, ফিরোজ আহম্মেদ, দীন ইসলাম ফকরুল, হুমাযূন কবির হিমেল প্রমুখ।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।