বিরিশিরি পর্যন্ত রেললাইন স্থাপিত হলে খুলবে সম্ভাবনার দোয়ার

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোনা জেলার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রানের দাবী,দুর্গাপুর পর্যন্ত রেলপথ সংযোগ। স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই এই এলাকার মানুষ দুর্গাপুর পর্যন্ত রেল লাইন সংযোগের দাবী জানিয়ে আসলেও তখনকার পাকিস্তানী শাষকগোষ্টি জনগনের এই দাবী আমলে নেয়নি।স্বাধীনতার পরবর্তী ৪৭বছর পেরুলেও আজ পর্যন্ত এই উপজেলায় রেল লাইন সম্প্রসারনের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।দুর্গাপুর উপজেলা অর্থনৈতিক ভাবে একটি গুরুত্ব পূর্ন উপজেলা,হিন্দু মুসলিম,গারো,হাজং,কোচ,বানাই অধ্যুষিত এই এলাকা একটি পর্যটন এলাকা, প্রতিদিন দেশী-বিদেশী হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটে এই এলাকায়,গারো পাহাড়ের বনজ সম্পদ,শাল,শেগুন, গজারী সহ বহু মুল্যবান কাঠে সমৃদ্দ এই এলাকা,এখানকার সাদাসোনা হিসাবে খ্যাত চীনা মাটি দেশের সিরামিক ইন্ডাষ্ট্র্রি গুলোতে কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে,যার ফলে বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে সাদামাটি আমদানী নির্ভরতা লাগব হচ্ছে।এই উপজেলা খাদ্য উবৃত্ত উপজেলা হিসাবে খ্যাত,প্রতি বছর আমন ও ইরি-বোর মৌসুমে হাজার হাজার টন খাদ্য শষ্য দেশের অভ্যন্ত্ের প্রেরন করা হয়। এ ছাড়া সোমেস্বরী নদীর সিলিকন বালি বহুতল ইমারত সহ ব্রীজ কালবার্ট নির্মানে উৎকৃষ্ট কাঁচামাল,এ ছাড়াও এই এলাকার প্রকৃতিক কয়লা,নূরীপাথর অর্থনৈতিক ভাবে এই এলাকাকে করেছে সমৃদ্ধ।জাতীয় নিরাপত্তার জন্যেও এই এলাকা অনেক গুরুত্বপুর্ন।সীমান্তের অপর প্রান্তে ভারতের মেঘালয় প্রদেশ,বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষায় এলাকায় রয়েছে বেশ কয়টি বিজিবি সীমান্ত ফাড়ী।সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষা সহ চোরাচালান রোধে তাদের দায়ীত্ব পালন সহ তাদের প্রয়োজনীয় অস্ত্র সস্ত্র ও খাদ্য সরবরাহ করতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।দুর্গাপুরের সাথে দেশের অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ এমন পর্যায়ে রয়েছে যে তার বর্ণনা করা কঠিন।সম্প্রতি দুর্গাপুর শ্যামগঞ্জ রাস্তাটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে,এই রাস্তার কাজ শেষ হলে জন দুর্ভোগ কিছুটা কমবে,কিন্তু বাস্তবতা হলো এই রাস্তা দিয়ে এত পরিমান ওজন বহন ট্রাক যাতায়াত করে যা রাস্তার স্থায়ীত্ব নিয়ে অভিজ্ঞ মহল যতেষ্ঠ সন্দীহান।অতিরিক্ত বোঝাই ভেজা বালু পরিবহনের কারণে ভেজা বালু থেকে পানি পরতে পরতে রাস্তার বিটুমিন ধুয়ে রাস্তার প্রান শক্তি নস্ট হয়ে যাচ্ছে,যার প্রেক্ষিতে রাস্তা দুর্বল হয়ে ভেঙ্গে যায়।দুর্গাপুর বাসীর প্রানের দাবী দুর্গাপুর থেকে মাত্র ১২কিলোমিটার দুরে জারিয়া ঝান্জাইল পর্যন্ত রেল যোগাযোগ রয়েছে, এই ১২ কিলোমিটার রাস্তা রেল লাইন সংযোগ সম্প্রসারণ করা হলে পাল্টে যাবে দুর্গাপুর উপজেলা সহ পার্শবর্তী কলমাকান্দা এবং এই অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষের আর্থ সামাজিক জীবন মান।বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রেলের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে,যা অব্যাহত আছে।দুুর্গাপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রেল লাইন সম্প্রসারন করা হলে,এই অঞ্চলের কৃষি পণ্য,পাথর,কয়লা সাদামাটি,পাহাড়ী বনজ সম্পদ সহ বিজয়পুর স্থলবন্দর দিয়ে আমদানীকৃত মালামাল পরিবহনে যুগান্তকারী সুযোগ সৃস্টি হবে।অপরদিকে দেশ বিদেশ থেকে আগত পর্যটকদের আগমন হবে সহজ নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। প্রতি বছর সরকার পাবে মোটা অংকের রাজস্ব।দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে,তাঁর সাথে অংশীদার হতে এই এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছে।বর্তমান সরকার বাস্তবমুখী উন্নয়নে বিশ^াসী বলেই,এই এলাকার সকল স্থরের জনপ্রতিনিধি সহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষের প্রত্যাশা,দুর্গাপুর পর্যন্ত রেল লাইন সংযোগ স্থাপন করে তাদের দাবীটি বাস্তবে রুপ দিবেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।