স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে সৈনিকলীগ সভাপতির বাড়িতে কলেজ ছাত্রীর অনশন !

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাবেক সভাপতির বাড়িতে রোববার বিকেল থেকে অনশনে বসেছেন ওই এলাকার খালেদা নামের এক কলেজ ছাত্রী।’ পৌর শহরের ওয়েজখালীতে সৈনিক লীগের সাবেক সভাপতি ও নাঠ্যকর্মী নোমান হাসান খাঁনের বাড়িতে কলেজ ছাত্রীর অনশনের খবর পেয়ে সন্ধায় সদও মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে তদন্তের জন্য।’
জানা গেছে, পৌর শহরের ওয়েজখালীর আলহাজ্ব মতিউর রহমানের ছেলে সৈনিক লীগের সাবেক সভাপতি নোমান হাসান খাঁন সদর উপজেলার গৌরারং ইউণিযনের নিধিরচর গ্রামের কাছম আলীর মেয়ে ও ইসলামগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ বর্ষেও ছাত্রী খালেদা বেগমের সাথে গত এক বছর ধরেই মন দেয়া নেয়ার এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এদিকে পারিবারীক সম্মতিতে নোমান অন্যত্র বিয়ের পিরিতে বসতে যাচ্ছে জেনে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে খালেদা রোববার বিকেল সাড়ে ৪ থেকে নোমানের বাড়িতে গিয়ে অনশনে বসেন।’ এ খবর গ্রামে ও আশে পাশের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতার ভীড় বাড়তে থাকতে।’
কলেজ ছাত্রী খালেদা বেগম রোববার সন্ধায় জানান, নোমান আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছে প্রায় ১ বছর হল , এরই মধ্যে আমাকে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতেও নিয়ে গেছে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কও করেছে একাধিবার। খালেদা আরো বলেন এখন আমার জীবন নষ্ট কওে সে অনত্র বিয়ে করতে যাচ্ছে, তাহলে কেনইবা সে আমার সাথে মেলামেশা করলো আর কেনইবা সামাজিক ভাবে আমার মান-ইজ্জত নষ্ট করল, বিয়ে যদি করতে হয় তবে আমাকেই করতে হবে স্ত্রীর স্বীকৃতি না নিয়ে আমি আর বাড়ি ফিরেও যাবনা।’
সদর উপজেলার বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাবেক সভাপতি ও নাঠ্যকর্মী নোমান হাসান খাঁনের বক্তব্য জানতে তার ব্যাক্তিগত মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।’
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাবীবুল্লাহ জুয়েলে নিকট রোববার সন্ধায় এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ রকম একটি ঘটনা লোকমুখে জানতে পেরে সদও মডেল থানার পুলিশশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি বিষয়টি তদন্ত করার জন্য।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।