
বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় পোগলা ইউনিয়নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে স্কুল পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর (১৫) বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে ইউএনও আরিফুজ্জামান ঢাকা থেকে মুঠোফোনে বিয়েটি বন্ধ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পোগলা ইউনিয়নের ওই মেয়েটি একই ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী। শুক্রবার বিকেলে তার বিয়ের কথা ছিল। বর ছিলেন একই ইউনিয়নের সুনুই গ্রামের ওয়ারেস মিয়ার ছেলে শফিকুল মিয়া (২৮)। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে ইউনিসেফের একটি প্রকল্পের ওই ইউনিয়নের সমন্বয়ক জুয়েল জোয়ারদার ও স্থানীয় সংগঠন ফুটন্ত কলি শিশু ফোরামের ইউনিয়ন সভাপতি তানিয়া আক্তার ওই দিন দুপুরে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে বিয়ে বন্ধের অনুরোধ করেন। কিন্তু পরিবারের লোকজন বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হননি। পরে বিষয়টি এই প্রতিবেদককে জানালে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামানকে মুঠোফোনে বার্তা পাঠিয়ে জানান। ইউএনও ওই সময় দাপ্তরিক কাজে ঢাকা থাকায় সঙ্গে সঙ্গে মুঠোফোনে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের বুঝিয়ে বিয়েটি বন্ধের অনুরোধ জানান। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে তাঁর কার্যালয় থেকে মেয়েটির বাড়িতে লোকজন ও থানা থেকে পুলিশ পাঠিয়ে বিয়েটি উভয় পরিবারকে ডেকে বুঝিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেনা বলে মুচলেখা নিয়ে বিয়েটি বন্ধ করা হয়।
ইউএনও আরিফুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, ‘মেয়েটির পরিবার আমাকে মুঠোফেনে জানিয়েছে তারা বাল্যবিয়ের কুফল সমন্ধে জানতো না। এ ছাড়া তারা দরিদ্র। তাদের বুঝিয়ে বিয়েটি বন্ধ করা হয়েছে। মেয়েটি যাতে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে তারও ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’
এই নিয়ে গত দেড় মাসে জেলার বারহাট্টা, কলমাকান্দা, কেন্দুয়া, বারহাট্টা, খালিয়াজুরি, পূর্বধলায় ও সদর উপজেলায় অন্তত ১৮টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা।