সরাইলে সবজি ও ফলমূলে অতিমাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগের অভিযোগ

এম মনসুর আলী,ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় সবজি ও ফলমূলে অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহারের ফলে অত্র এলাকায় জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। বিষযুক্ত এসব খাবার খেয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে জেলা ও উপজেলার মানুষ। এর প্রমাণ জেলা ও উপজেলার সরকারী ও বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে রোগীর উপচে পড়া ভীড় থেকেই বুঝা যায়। তাছাড়া রোগীর চাহিদার উপর ভিত্তি করে সরাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যতগুলো হাসপাতাল গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের আর কোন জেলা শহরে এত হাসপাতাল নেই।ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে হাসপাতালের শহর বলা হয়।

 ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও উপজেলার  কৃষকরা সব ধরনের শাকসবজি ও ফলমূলে যথেচ্ছভাবে অতিমাত্রায় কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করেছে। ব্যবহারবিধি ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না জেনেই অসচেতন কৃষকরা ইচ্ছা মতো কীটনাশক ব্যবহার করছে। প্রতিদিনের খাওয়া সবজিতে সকালে বিষ প্রয়োগ করে বিকালে বাজারে নিয়ে বিক্রি করছে কৃষকরা। এর ফলে জেলা ও উপজেলার  মানুষ মারাত্মক সব জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

সরাইলের শিক্ষাবিদ ও বৃন্দাবন সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মো: মোসলেম উদ্দিন বলেন, সব্জিতে  কীটনাশক ও অতিরিক্ত রাসায়নিক সারের ব্যবহার কোন স্থানের যে নির্দিষ্ট জীবৈচিত্র রয়েছে যেমন,জীবকুল, উদ্ভিদ,মৎস্য সম্পদ সহ উপকারি অণুজীব ধ্বংস করে ফেলে। তাছাড়া  কীটনাশক যুক্ত সব্জি বা অতিরিক্ত রাসায়নিক সারের সব্জি খেলে রক্তে  বিষ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি এর ক্ষতিকর প্রভাব বংশ পরম্পরায় পর্যন্ত অর্থাৎ্ বিবর্তনে প্রভাব পড়ে।ফলে ভিকটিমের সন্তান ও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে জন্মাতে পারে।

সরাইল উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্কুল শিক্ষিক আসিফ ইকবাল খোকন বলেন,- বাজার থেকে সবজি কিনে আনলে বিষের গন্ধ বের হয়। ফলমূলে এমন পরিমাণ কেমিক্যাল দেওয়া থাকে যে, ১০ দিন বাইরে পড়ে থাকলেও পচে না, শুকিয়ে যায়।

সরাইল উপজেলা  কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন বলেন, ফসল সুরক্ষা ও রাসায়নিক সারের মাত্রা কমাতে চাষিদের জৈব রাসায়নিক প্রয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আর কীটনাশকের মাত্রা কমাতে ফেরোম্যান ট্র্যাপ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’মধু খই খই বিষ খাওয়াইলা ‘ গানের মতোই আমরা মধু নামের বিষাক্ত শাকসবজি খাচ্ছি।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।