
স্টাফ রির্পোটার: এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রবিবার বিকালে কেন্দুয়ায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারধর, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা যুবলীগ নেতা রিপন চৌধুরী ও তার কর্মী সমর্থকদের সাথে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আপেল মাহমুদ ও তার কর্মী সমর্থকদের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। আপেল মাহমুদের সমর্থক কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী রফিক রবিবার দুপুরের দিকে কলেজে তার কয়েকজন বন্ধু ও বান্ধবী নিয়ে আড্ডা দেয়ার সময় রিপন চৌধুরীর সমর্থক তফাজ্জল ও তার লোকজন তাকে মারধর করে। এ ঘটনা জানাজানি হলে আপেল মাহমুদের সমর্থকরা একত্রিত হয়ে এক ঘন্টা পর তফাজ্জলকে মারধর করে। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রিপন চৌধুরীর সমর্থকরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সরকারী খাদ্য গোদাম সংলগ্ন ছাত্রলীগ নেতা আপেল মাহমুদের চেম্বারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ সময় ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতা কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত সিরাজুল ইসলাম, লাখ মিয়া ও রনিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদেরকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
কন্দুয়া থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন চন্দ্র সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।