
কলমাকান্দা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরা ইউনিয়নের পশ্চিম লেঙ্গুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে। রাতের আধারে বিদ্যালয়ের সীমানার ভেতরে ইটের দেয়াল তুলে দখলে নিয়েছে বিদ্যালয়ের জায়গা। রোববার এলাকাবাসী এর প্রতিবাদে বিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করেছে।
অভিযোগে জানা যায়, জেলার সীমান্তবর্তী লেঙ্গুরা ইউনিয়নে দুর্গাপুর-কলমাকান্দা সীমান্ত সড়কের পশ্চিম লেঙ্গুরায় ১৯৭৬ সালের ১ জানুয়ারী .৩২শতাংশ জায়গার ওপর পশ্চিম লেঙ্গুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। ১৯৯২সালে বিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রেশন হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়। উপজাতী অধ্যুষিত পশ্চিম লেঙ্গুরা গ্রাম ও আশপাশের এলাকার ছেলে মেয়েরা ওই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। শিশু শ্রেণি থেকে ৫ শ্রেণি পর্যন্ত ২৫৮জন শিক্ষার্থী এবং চারজন শিক্ষক রয়েছেন। এরই মধ্যে বিদ্যালয়ে নতুন পাকা ভবন নির্মাণের জন্য ৯৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। এরই মধ্যে বিদ্যালয়ের সীমানার ভিতরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান তাদের নামে দুই শতাংশ জায়গা জমিদাতার ছেলে তোফাজ্জল হোসেনের কাছ থেকে দলিল করে নেন। শুক্রবার রাতের বেলায় দুই শতাংশ জায়গায় ইটের গাতুনী দেয়। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে রোববার এলাকার শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
পশ্চিম লেঙ্গুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতের বেলায় বিদ্যালয়ের সীমানার ভিতরে কারা দেয়াল নির্মাণ করেছে। বিষয়টি আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে নির্মাণ কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে।
পশ্চিম লেঙ্গুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইব্রাহিম আকন্দ বলেন, বিদ্যালয়টি সড়কের পাশে। বিদ্যালয়ের সীমানার ভিতরে তারা দেওয়া তুলে দখলে নিয়েছে। এলাকার মানুষ সহজ সরল, কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়না যদি কোন বিপদে পড়ে এই ভয়ে।
লেঙ্গুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জমিদাতা .৯০ শতাংশ জায়গার মধ্যে বিদ্যালয়ের নামে ৩২ শাতাংশ ও বাকী জমি অন্যত্র বিক্রি করেন। এর মধ্যে দুই শতাংশ তারা কিনে দলিল করে নিয়েছেন। একই ধরনের কথা বলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান তিনি বলেন, জমিদাতার ওয়ারিশান তার ছেলের কাছ থেকে দুই শতাংশ জমি কিনে নিয়েছি। আমাদের কাছে বৈধ কাগজ আছে।