নেত্রকোনায় শ্বাশুড়ীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে জামাতার মৃত্যুদন্ড

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোনায় শ্বাশুড়ী ফাতেমা আক্তারকে (৫০) কুপিয়ে হত্যার দায়ে জামাতা আলমগীর হোসেনকে(৩২) মৃত্যুদন্ড তৎসহ ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন নেত্রকোনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। জেলা ও দায়রা জজ কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা মঙ্গলবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের আব্দুল কাদিরের বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে রিনা আক্তারকে একই গ্রামের মৃত জব্বার আলীর পুত্র আলমগীর হোসেন ১০ বছর পূর্বে বিয়ে করে। বিয়ের পর জামাতা আলমগীর যৌতুক হিসেবে তার শ্বশুড়বাড়ী থেকে একটি গরু কিনে দেয়ার জন্য স্ত্রী রিনার উপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে। অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে রিনা বিগত ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী তার মায়ের কাছে চলে আসে। আলমগীর তার স্ত্রীকে জোরপূর্বক বাড়ীতে নিয়ে আসার জন্য গেলে শ্বাশুড়ী তাকে বাঁধা দেয়। এতে সে মারাত্মক ক্ষিপ্ত হয়। ২০১৬ সালের ১ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্বাশুড়ী ফাতেমা বাড়ীর পাশ্ববর্তী সবুজের মনোহারী দোকান থেকে সদাই আনতে গেলে জামাতা আলমগীর ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে খুন করে। এ ঘটনায় মৃতকের ছেলে রাসেল মিয়া বাদী হয়ে পরদিন বোন জামাই আলমগীর হোসেনকে একমাত্র আসামী করে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ২৫ এপ্রিল আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। বিজ্ঞ বিচারক মামলার আটজন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহনান্তে আসামী আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় উপরোক্ত রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট সাইফুল আলম প্রদীপ, আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মুখলেছুর রহমান।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।