
মদন প্রতিনিধি: নেত্রকোনার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নে ভগ্নিপতির বাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী। এ ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ধর্ষিতা বাদী হয়ে অটো চালক সাব্বিরকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কেন্দুয়া উপজেলার বরাপাড়া গ্রামের এক কিশোরী কন্যা ভগ্নিপতি বাড়ি মদন উপজেলার কাওয়ালীবিন্নী গ্রামে বেড়াতে আসে। রোববার রাতে কিশোরী তার বোন নাবিয়ার সাথে রাগ করে ভগ্নিপতির বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি যাওয়ার জন্য দৌলুতপুর গ্রামের অটো রিক্সা চালক সাব্বিরের গাড়িতে উঠলে দৌলতপুর গ্রামের কয়েকজন বখাটে তাকে দৌলুতপুর তিয়শ্রী সড়কের স্লুইচ গেটের চিকনি হাওরের পাশে মল্লিক ফকিরের ভক্ত রফিকের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ৪ জন মিলে রাতভর গণধর্ষন করে। সোমবার সকালে তিয়শ্রী সড়কে তাকে ফেলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষিতা কেন্দুয়া উপজেলার আলমপুর গ্রামে এক বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয় ও পরে নিজ বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনের কাছে ঘটনা খোলে বলে। এতে অভিভাবকগণ মদন থানায় এসে মঙ্গলবার এ মামলাটি দায়ের করেন।
ধর্ষিতা জানায়, আমি আমার ভগ্নিপতির বাড়ি থেকে রাগ করে বেড় হয়ে কেন্দুয়া নিজ বাড়িতে যাওয়ার উদ্দ্যেশ্যে কালীবাড়িতে সাব্বিরের অটো রিক্সায় উঠি। এসময় ওরা আমাকে নিয়ে দৌলতপুর তিয়শ্রী সড়কের স্লুইচ গেটের চিকনি হাওরের পাশে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ৪ জন মিলে রাতভর গণধর্ষন করে। এতে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা আমাকে তিয়শ্রী সড়কে ফেলে চলে যায়। আমি এ ব্যাপারে মদন থানায় মামলা করেছি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ওসি মোঃ শওকত আলী জানান, এ ব্যাপারে ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ৪ ধর্ষকের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।