
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় বোরো ফসলরক্ষা বেরীবাঁধ নির্মাণে প্রায় ৬৯ লাখ টাকার প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতি করায় তিন প্রকল্প (পিআইসি) কমিটির সভাপতি থানা পুলিশ সোমবার দুপুরে গ্রেফতারের পর অবশেষে সন্ধায় ইউএনওর নিকট মুছলেখা দিয়ে ছাড়া পেলেন।’
জানা গেছে. জেলার ধর্মপাশা উপজেলায় চলতি মৌসমে চন্দ্রসোনার তাল হাওরের বোরো ফসল রক্ষার বেরীবাঁধ নির্মান প্রকল্পে সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের রুবেল আহমদকে প্রকল্প কমিটির সভাপতি করে ২৪ লাখ ৬০ হাজার, একই গ্রামের শামসুল আলমকে ২৪ লাখ ও চাঁনমিয়াকে ২০ লাখ ১৪ হাজার টাকার সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয় চলতি ফ্রেব্রƒয়ারী মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে বাঁেধর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত কারার শর্তে।’
এদিকে প্রকল্প এলাকায় সরজমিনে সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পরির্দশনে গিওেয় দেখতে পান রুবেল আহমদ বাঁধে সামান্য বালু ফেলে রেখেছেন। একই ভাবে পুরনো বাঁধ থেকে পুন:রায় যতসামান্য মাটি কেঁটে বাঁধের কাগুজে বাঁধ বাস্তবায়ন করছেন শামসুল আলম ও নির্দারিত প্রকল্পের বাঁধে সোমবার পর্য্যন্ত এক কোদাল মাটিও ফেলেনি প্রকল্প কমিটির সভাপতি চাঁন মিয়া। এরকম অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখার পর থানা পুলিশ ইউএনওর নির্দেশে তিন প্রকল্প কমিটির গুণধর সভাপতিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে উপজেলার সুখাইড়[ রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিদের চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সুপারিশে তাদেও জিম্মায় মুছলেখা রেখে ওই তিন পিআইসি সভাপতিকে হাজতবাস থেকে মুক্তি দেয়া হয়।’
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন খন্দকার সোমবার সন্ধায় তিন পিআইসির সভাপতিকে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করে বললেন, ফেব্রয়ারী মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে প্রকল্পের নির্ধারিত বাঁধের কাজ সমাপ্ত করার শর্তে মুছলেখা রেখে ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর জিম্মায় তাদেরকে ছেড়ে দেযা হয়েছে।