পূর্বধলায় বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল দুই স্কুল শিক্ষার্থী

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় দুই স্কুল শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন। তাদের মধ্যে মেয়েটি জারিয়া ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী (১৪)। আর ছেলেটি একই বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে (১৫)।
রোববার রাত নয়টার দিকে তাদের বিয়ের কথা ছিল। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নমিতা দে ওই মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে বিয়েটি বন্ধ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ওই দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে মেয়েটির বাড়ি পূর্বধলা উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নে। আর ছেলেটির বাড়ি পাশের ইউনিয়ন জারিয়ায়। রোববার রাত নয়টার দিকে তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নমিতা দে পুলিশ ও লোকজন নিয়ে রাত আটটার দিকে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। প্রশাসনের উপস্থিতিতে বর ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে ইউএনও উভয় পরিবারকে ডেকে বুঝিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেনা বলে মুচলেখা নিয়ে বিয়েটি বন্ধ করেন।
ইউএনও নমিতা দে মুঠোফোনে বলেন, ‘মেয়েটির পরিবার বাল্যবিয়ের কুফল সমন্ধে জানতো না। তাদের বুঝিয়ে বিয়েটি বন্ধ করা হয়েছে।’
এই নিয়ে গত ১৭ দিনে জেলার বারহাট্টা কলমাকান্দা, কেন্দুয়া, বারহাট্টা, খালিয়াজুরি, পূর্বধলায় ও সদর উপজেলায় অন্তত ১২টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।