নেত্রকোনায় বিএনপির ৬৭৯ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা: আটক ৩৭

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার ১০টি থানার ২০ মামলায় ৬৭৯ জন বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চলছে পুলিশের ধরপাকড়ের অভিযান। মঙ্গলবার রাতে এসব মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ সূত্র।
নেত্রকোনার ১০ টি থানার পরিদর্শকের সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা এসব মামলায় ৬৭৯ জনকে আসামী করা হয়েছে বলে।
নেত্রকোণা মডেল থানার পরিদর্শক আমীল তৈমুর ইলী জানান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বাদি হয়ে বিস্ফোরক আইনে ও বিশেষ ক্ষমতা আাইনে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন। এই দুইটি মামলাতেই জেলা বিএনপির সভাপতি আশরাফ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা: আনোয়ারুল হককে আসামী করা হয়েছে।
কেন্দুয়া থানার পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম জানান, থানায় বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আাইনে পৃথক দুইটি মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপি সদস্য ও কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি রফিকুল ইসলাম হিলালী ও কেন্দুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভুইয়াকে আসামী করা হয়েছে।
দূর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুর রহমান, নেত্রকোনা জেলা ওলামা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ মোঃ জসিম উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এস এম দেলোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি রায়হান ফারাস বাপ্পী, জেলা যুবদল নেতা আলম, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ফারুক আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জুবায়েদ হোসেন রনি, মদন পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন আঙ্গুর, মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ লিটন মিয়া, আটপাড়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ ইমরুল হোসেন, কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সমাজ কল্যান সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন ভূইয়া, খালিয়াজুরী উপজেলা ছাত্রদল নেতা মোঃ মাজহারুল ইসলাম পলিন।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলম জানান, মামলাগুলোতে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আসামী করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ২৩ জনকে। এসব মামলায় এই ৩৭ জনকে আসামী করা হয়েছে। আটকদেরকে আদালাতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।