বাংলার নেত্রে সংবাদ প্রকাশের পর দখলমুক্ত বাংলা শশ্মানঘাট

বিশেষ প্রতিনিধি: অবশেষে দখল মুক্ত হয়েছে নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নের বাংলা গ্রামের শশ্মান ঘাট। এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ এবং দৈনিক বাংলার নেত্র,দৈনিক জনকণ্ঠসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে রেল মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে রেলের বিভাগীয় এস্টেট অফিসারের কার্যালয় বুধবার শশ্মানঘাট থেকে অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা উচ্ছেদ করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন রেলওয়ের সহকারী এস্টেট অফিসার মোঃ ওহিদুন নবী। এ সময় রেলওয়ে পুলিশ তাকে সহায়তা করেন।
স্থানীয়রা জানান, বাংলা গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায় বংশ পরম্পরায়ভাবে বাংলা রেলস্টেশন সংলগ্ন ৬৬ শতক রেলওয়ের পরিত্যক্ত জমি শশ্মানঘাট হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ওই গ্রামের শাহ্জাহান কবির নামে এক ব্যক্তি (বর্তমানে তিনি রেলওয়ের গেট কিপার) রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এবং কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে শশ্মানঘাটের বেশিরভাগ জায়গা দখল করে নেন। দখলের পর ওই জায়গাটিতে একাধিক ঘর নির্মাণ করে তিনি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে শুরু করেন। কিছু জমি অবৈধভাবে অন্যের কাছেও হস্তান্তর করেন বলে জানান অভিযোগকারীরা। এছাড়া শশ্মানের চারপাশে প্রাচীর নির্মাণের ফলে জায়গাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। জলাধার দখল করে নেয়ায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এলাকাবাসী শাহজাহান কবিরকে নিয়ে কয়েকবার সমঝোতা বৈঠকে বসলেও তিনি সবার সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করেন। পরবর্তীতে এলাকাবাসী রেলের উর্ধতন কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় সাংবাদকিদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এ নিয়ে গত ২১ ডিসেম্বর দৈনিক বাংলার নেত্র,২০ ডিসেম্বর দৈনিক জনকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ফলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে।
উচ্ছেদ অভিযান নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা মোঃ ওহিদুন নবী বলেন, শাহজাহান কবির অবৈধভাবে জায়গাটি ভোগ দখল করছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে। এছাড়া আগামী ১৪ জানুয়ারি বাংলা রেলস্টশনের আশপাশের বাদবাকি স্থাপনাগুলোও উচ্ছেদ করা হবে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।